প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :- দুর্ঘটনায় জখম হয়ে সোমবার দুপুরে জাতীয় সড়কে পড়ে কাতরাচ্ছিলেন বছর চৌষট্টির এক মহিলা ।কেউ তাঁকে উদ্ধারে এগিয়ে আসছিলেন না । ওই সময়ে দলীয় সভায় যোগদিতে ২ নম্বর জাতীয় সড়ক পথ ধরে বর্ধমান যাচ্ছিলেন দুই তৃণমূল যুবনেতা সন্দীপ বসু ও সৌরভ হালদার । জাতীয় সড়কে পূর্ব বর্ধমানের মেমারির পালসিটে রক্তাত অবস্থায় মহিলাকে দেখতে পেয়ে তৎক্ষণাত গাড়ি দাঁড় করিয়ে তাঁরা সেখানে নেমে পড়েন ।
রক্তাত অবস্থায় সড়কপথের উপরে পড়ে থাকা মহিলাকে উদ্ধার করে নিজেদের গাড়িতে চাপিয়ে নিয়ে দুই তৃণমূল যুবনেতা দ্রুত পৌছান বর্ধমানের ‘অনাময়’ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে । সেখানে মহিলাকে ভর্তি তাঁরা করে তার পরিবারে খবর দেন ।সিদ্দিকা বেগমের পরিবার হাসপাতালে পৌছে সবকিছু জানার পর দুই মানবিক তৃণমূল যুব নেতার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন ।
জানাগিয়েছে হুগলী জেলার বৈচির বাসিন্দা সিদিকা বেগম । চৌষট্টি উর্ধ্ব সিদ্দিকা তাঁর ভাগ্না সাইফুর রহমানের মোটরবাইকে চড়ে এদিন দুপুর ১২টা নাগাদ বর্ধমানের পিরবাহারমে বিয়ে বাড়িতে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। পথে ২নম্বর জাতীয় সড়কে তারা দূর্ঘটনার কবলে পড়েন ।সিদ্দিকা বেগমের ভাগ্না সাইফুর রহমান বলেন , মোটর বাইকে চাকা রাস্তার গর্তে পরে গেলে ঝাঁকুনিতে তাঁর মাসি বাইক থেকে ছিটকে রাস্তায় পড়ে গেলে মাথা ফেটে যায় ।মাসির শরীরের বেশকিছু জায়গাতেও অঘাত লাগে ।
রাস্তায় পড়ে মাসি যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছিল । মাসিকে হাসপাতাল নিয়ে যাবার জন্য হাত তুলে তিনি পথ চলিতে গাড়ি দাঁড় করাবার প্রচেষ্টা চালাচ্ছিলেন । কিন্তু কেউ গাড়ি দাঁড় করিয়ে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসতে চান নি । সন্দীপ বসু ও সৌরভ হালদার মানবিক ভাবে তাঁদে পাশে দাঁড়ান । তারাই তাঁর মাসিকে উদ্ধার করে ‘অনাময়’ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করিয়েছেন । সাইফুর বলেন ,ওনারা পাশে না দাঁড়ালে মাসিকে হয়তো প্রাণে বাঁচাতে পারতাম না । ওনাদের প্রতি আমরা আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো।
বৃদ্ধা সিদ্দিকা বেগমকে সাহায্যকারি সন্দীপ বসু ও সৌরভ হালদার জেলার কালনার বাসিন্দা । সন্দীপ বাবু পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সহ সভাপতি। আর কালনা শহর তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি সৌরভ হালদার । সন্দীপ বাবু বলেন , দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে এদিন তাঁরা চারচাকা গাড়িতে চড়ে বর্ধমান যাচ্ছিলেন । জাতীয় সড়কে পালসিট এলাকায় মহিলাকে রক্তাত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে কাতরাতে দেখেই তিনি গাড়ির ড্রাইভারকে গাড়ি থামাতে বলেন । মহিলাকে সেখানথেকে উদ্ধার করে ‘অনাময় ’হাসপাতে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করেন ।তার পরিবারকে খবর দেন । সন্দীপ বাবু বলেন , অসহায় বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর শিক্ষা তাঁদের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবসনয় দিয়ে থাকেন । সেই কাজই এদিন তাঁরা করেছেন । ”