প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :- নেশার টাকা না পেয়ে বৃদ্ধা ঠাকুমাকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হল নাতি ।ধৃতের নাম আশিস পালধি । তার বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের মাধবডিহি থানার বড়বৈনান গ্রামে । বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে বছর ৮৫ বয়সী ঠাকুমা বীনাপানি পালধি কে প্রাণে মারার আভিযোগে পুলিশ সোমবার রাতে আশিসকে গ্রেপ্তার করে । খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত বাঁশের লাঠিটি পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে ।মঙ্গলবার ধৃতকে পেশ করা হয় বর্ধমান আদালতে।ভারপ্রাপ্ত সিজেএম ধৃতকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বড়বৈনান গ্রামে বসবাস করেন বীনাপানি দেবীর ছোট ছেলে সত্যনারায়ণ পালধি । স্বামী মারাযাবার পর থেকে বীনাপানি দেবী ছোট ছেলের কাছেই থাকা শুরু করেন । বছর দুই আগে সত্যনায়ণের ছেলে আশিস বিহারের একটি হিমঘরে মেকানিকের কাজ করতে যায়। সেখানে গিয়ে সে নেশা আসক্ত হয়ে পড়ে। সেখান থেকে বছর খানেক আগে সে নিজেদের বাড়িতে ফেরে আসে। এরপর থেকে নেশার টাকার জন্য হামেশাই সে তাঁর বাবা-মার উপর চাপ সৃষ্টি করতো।
প্রতিবেশীরা বলেন,মাস ৫ আগে নেশার টাকা না পেয়ে আশিস তাঁর মাকে কাটারি দিয়ে কুপিয়েছিল ।বরাত জোরে তার মা প্রাণে বেঁচে যায়। নেশা করার জন্য সোমবার সকালে আশিস প্রথমে তাঁর বাবার কাছে ২০০ টাকা চায়। পরে মায়ের কাছেও টাকা চায়। মা ও বাবা টাকা না দেওয়ায় সে বৃদ্ধা ঠাকুমার কাছে টাকা চায়। ঠাকুমা টাকা দিতে না পারায় আচমকাই বাঁশের লাঠি দিয়ে আশিস তার ঠাকুমাকে বেপরোয়া ভাবে মারতে শুরু করে ।
মারধোরে মারাত্মক জখম হয়ে বৃদ্ধা সংজ্ঞা হারান । তাকে উদ্ধার করে মাধবডিহি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। শারীরিক অবস্থা সংকটজনক থাকায় বৃদ্ধাকে সেখান থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় ।সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক বৃদ্ধাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনা নিয়ে মৃতের আত্মীয় সদানন্দ পালধি মাধবডিহি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করে পুলিশ রাতে বৃদ্ধার নাতিকে গ্রেপ্তার করে ।