দিঘাঃ এতদিন সৈকত যেন কাটাচ্ছিল কোয়ারেন্টাইনে। দীর্ঘ কয়েক মাসের কোয়ারেন্টাইনে থাকার পর দিঘা যেন এখন নিজেকে উজাড় করে দিচ্ছে সকলের কাছে। যা সাদরে গ্রহণ করছেন ভ্রমণ পিপাশু মানুষজনেরা। ঘোড়ার টগবগ আওয়াজ থেকে শুরু করে পর্যটকদের কলতানে ফের সমুদ্র সৈকত যেন আবার সেই আগের ছন্দে ফিরছে। ফলে চোখে মুখে আনন্দের ঝিলিক দেখা দিয়েছে দিঘা সহ আশেপাশের সৈকত এলাকাগুলির ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
অতিমারীর দীর্ঘ আঁধার কাটিয়ে নতুন করে কর্মব্যস্ততায় জেগে উঠেছে সৈকতনগরী দিঘা। গত স্বাধীনতা দিবসের পর থেকেই দিঘায় ভীড় জমাচ্ছেন ভ্রমণ পিপাশু মানুষজন। কেউ বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে আবার কেউ পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘ কোয়ারেন্টাইনের পর আনন্দঘন পরিবেশে নিজেকে সাক্ষী রাখতে ভিড় জমাচ্ছেন এই দিঘাতে।
সমুদ্রস্নান থেকে শুরু করে ঘোড়সওয়ার সবকিছুই এখন প্রায় স্বাভাবিক হতে চলেছে। দোকানপাট গুলিতেও আগের তুলনায় কিছুটা বিক্রি-বাট্টা বেড়েছে। মুক্ত বাতাসে প্রাণখোলা শ্বাস নিতে পারছেন দিঘার হোটেল মালিক থেকে শুরু করে আশেপাশের ছোটখাটো ব্যবসায়ীরাও। পর্যটকদের কাছে বর্তমানে দিঘায় এক উপরিপাওনা বলতে ইলিশ। ইতিমধ্যে দিঘার সমুদ্রে ইলিশ উঠতে শুরু করেছে। ফলে রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তের তুলনায় এই সৈকত এলাকায় ইলিশ দামে কিছুটা হলেও কম। তাই সৈকতের ঠাণ্ডা বাতাসের সাথে সাথে পর্যটকদের পাতে এখন বাড়তি হিসেবে পড়ছে ইলিশ।
তবে এরমধ্যেই করোনা সংক্রমণের জন্য আগের মত সেই উপচে পড়া ভিড় এখন আর দিঘায় নেই বলাই চলে। তবে স্বাধীনতা দিবসের পর থেকে যে পরিমাণ পর্যটকের সমাধান হচ্ছে দিঘায় তাতেই আশার আলো দেখছেন দিঘার ব্যবসায়ীরা। আগস্টের প্রথম থেকেই দিঘায় পর্যটকের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছিল। এরপর স্বাধীনতা দিবসের পর থেকে এক ধাক্কায় পর্যটকের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজারের গিয়ে ঠেকেছে। যাতে মন্দা কাটিয়ে কিছুটা মৃদু হাসি হাসছেন ব্যবসায়ীরা। তবে পরিবহনব্যবস্থা সেভাবে স্বাভাবিক না থাকায় কেউ বাইকে কিংবা কেউ ছোট গাড়িতেই ছোটখাটো ট্যুরে ভিড় জমাচ্ছেন দিঘাতে।
আরো পড়ুন-পূর্ব মেদিনীপুর জেলার করোনায় মারা গেলেন এগরার বিধায়ক সমরেশ দাস