আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

৭২ এর পাত্র ৩৬ এর পাত্রী অভিনব বিয়ে হয়ে গেলো শ্রীরামপুরে।

By krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

শুভজিৎ ঘোষ

থায় বলে যে কেনো কাজই করো না কেনো.. মনের জোর থাকলে বয়স কোনো বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় না।এবার সেই ভাবনা কে সামনে রেখেই একটি অভিনব বিয়ে হয়ে গেলো হুগলির শ্রীরামপুরে। শ্রীরামপুর ডাক্তার বাগানের বাসিন্দা সমরেন্দ্রনাথ ঘোষ তিনি বিয়ে করলেন ৩৬ বছর বয়সী এক পাত্রীকে।অবসর নেওয়া কলেজ অধ্যাপক সমরেন্দ্রনাথ বাবুর প্রথম স্ত্রী মাত্র ৪৫ বছর বয়সে মারা যান। তার পর থেকেই একপ্রকার নিষঙ্গ জিবন জাপন করছিলেন তিনি।

Krishaksetu bangla

এমন দিন গিয়েছে বেশ কয়েকদিন খাবারও জোটেনি কপালে।বর্তমানে কল্যানীতে একটি কলেজে পার্টটাইমে অধ্যাপনার কাজ করেন।এম এ তে ডবল,.. পি এইচডিতে ডবল, সহ নানান ডিগ্রি ধারী এই সমরেন্দ্রনাথ বাবু সময় কাটাতে বাড়িতেও বেশ কিছু বিষয় নিয়ে পরাশোনা করান ছাত্র ছাত্রী দের। এরপরও কোথাও যেনো একটা শুন্যেতা ছিল তার জীবনে।অবশেষে সিদ্ধান্তটা নিয়েই নিলেন। প্রাত্রী খুঁজতে বিজ্ঞাপন দিলেন দৈনিক সংবাদ পত্রো।

Krishaksetu bangla

প্রথমে ভেবেছিলেন খুব একটা সারা পাওয়া যাবে না.. কিন্তু ৩৮ টি পাত্রীর সন্ধান পেয়েছিলে তিনি। অবশেষে রিষড়ার বাসিন্দা ইরা রায়কে তার শেষ জিবন সঙ্গিনী হিসেবে বেছে নিলেন। জুলাই মাসের ২৭ তারিখে তার সাথে আইনি মতে বিয়ে করেন সমরেন্দ্র নাথ বাবু।আনুষ্টিক ভাবে ১০ আগষ্ট দুই হাত এক হয় তাদের সমরেন্দ্রনাথ বাবু জানান তার এই জিবনে এ রকম একটি পাত্রী পেয়ে দারুন খুশি তিনি।অন্যদিকে প্রাত্রী ইরা ঘোষ জানান ভালো মনের মানুষ সমরেন্দ্র নাথ।তিনিও তাকে পেয়ে খুবই উচ্ছ্বসিত।

Krishaksetu bangla

দু’জনেইরই একাকিত্ব ঘুচলো.. মন চাইলেও কঠিন এই সময়ে বিয়ের পর কোথাও ঘুরতে যেতে পারছেন তারা.. তাই আপাতত বাড়িতেই তারা হানিমুন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ।এদিকে তাদের এই বিয়েটাকে ভালো চোখে নেয়নি। কেই কেই কটুক্তি করছেন তাদের দেখে। এমনকি ফোন করেও নানা কটু কথা শোনাচ্ছে তাদেরকে । যদিও সমরেন্দ্রনাথ বাবু জানান অভিনেতা দিপঙ্কর দে, প্রখ্যাত সেতার বাদক পন্ডিত রবিশঙ্কর যদি এই পথ বেছে নেন .. তাহলে তিনিও ঠিক পথেই হেঁটেছেন।লোকে কি বললো তা যায় আসে না। নিন্দুকেরা নিন্দা করবেই।

 

See also  পুলিশের হাতে ধরা পড়লো ভূয়ো সেনাবাহিনী

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি