যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে, আমি বাইবো না মোর খেয়া তরী এই ঘাটে-গো’— কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পায়ের চিহ্ন না রইলেও তার রচনায় ভর করে খেয়াতরী আজও বহমান।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বহুমুখী সৃজনশীলতা বাংলা সাহিত্য ও শিল্পের অমূল্য সৃষ্টি।তার লেখা গান বাঙালির হৃদয়ে প্রতিধ্বনিত হয় আজো।
আনন্দে, বেদনায় এমনকি দ্রোহে এখনও রবীন্দ্রনাথ বাঙালির প্রেরণার উৎস।রবীন্দ্রনাথের জন্ম হয়েছিল কলকাতার এক পিরালী ব্রাহ্মণ পরিবারে। বাংলার দিকপাল কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, গল্পকার, প্রাবন্ধিক ও দার্শনিক।তিনি কবিগুরু ও বিশ্বকবি অভিধায় নন্দিত।
ঊন-বিংশ শতাব্দীর শেষ ও বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে বাংলা সাহিত্য ও সঙ্গীতে রবীন্দ্রনাথ এক যুগান্তকারী পরিবর্তনের সূচনা করেন। মাত্র আট বছর বয়সে তিনি প্রথম কবিতা লেখেন। ১৮৮৭ সালে ‘ভানুসিংহ’ ছদ্মনামে তার প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয়।গীতাঞ্জলী কাব্যগ্রন্থের জন্য ১৯১৩ সালে সাহিত্যে প্রথম বাঙালি এবং এশীয় হিসেবে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন কবিগুরু।আজ ২২শে শ্রাবণ ।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মহাপ্রয়াণ দিবস। বাঙালির প্রাণের কবি মনের কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নশ্বর পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেও অসামান্য রচনা ও কাজের মধ্যে আজো বেঁচে আছেন তিনি প্রেরণা-দাতা হয়ে।