আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

করোনার ভ্রুকুটি উপেক্ষা কর চারহাত এক হলো আজ অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে

By krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now
কৃষ্ণ সাহা ( বর্ধমান ) :-
লকাতার বর আর বর্ধমানের কনে।করোনার ভ্রুকুটি উপেক্ষা কর চারহাত এক হোলো আজ অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে। প্রশাসনের এই সাহায্যে খুশি দুই পরিবার। মাত্র ২২ জনকে নিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান। তবে করোনার প্রকোপ কমলে জাঁকজমক করে একটা অনুষ্ঠানের ইচ্ছা রয়ে গেছে মনে। বর্ধমানের রাজগঞ্জের মেয়ে মীনাক্ষী দে। তার সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয় কলকাতার মহেন্দ্র রায় লেনের বাসিন্দা সৌভিক দাসের।সে আই টি সেক্টরে কাজ করে।বিয়ের যখন সবকিছুই ঠিকঠাক তখনই শহরের সাত টি এলাকা কনটেনমেন্ট জোন ঘোষিত হয়।
সরকারি নির্দেশিকা মেনে চলছে সাত দিনের লকডাউন। কনটেনমেন লাগোয়া বেশ কিছু এলাকা বাফার জোন হয়ে যায়। এসব এলাকাতেও কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি পালন হচ্ছে। রাজগঞ্জের ওই এলাকাও বাফার জোনে।তার পাশেই মালির বাগানে একজন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন।নিয়ম অনুযায়ী এলাকা কনটেনমেন জোন ঘোষিত হয়েছে। এলাকায় বাঁশের ব্যারিকেড পড়েছে।এলাকায় চলছে কড়া পুলিশী নজরদারি। তাই বিয়ে বন্ধ হবার আশঙ্কায় মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে পাত্রপাত্রীসহ সকলেরই।এসময় প্রশাসন এগিয়ে আসে।রবিবার রাতে সব বিধি মেনেই এক হলো দুই জীবন।বরের বাড়ি সেফ জোনে।

তবুও বরের গাড়ি সহ সবাইকে স্যানিটাইজ করা হয়। সব অনুমতি নিয়ে বরযাত্রী মাত্র চার।প্রত্যেককে একটি করে মাস্ক দেওয়া হয়। দু’পক্ষের বাকি সবাই মাস্ক পড়ে আছেন।পাত্রপাত্রীও মাস্ক পড়েছেন। মাস্ক পড়েই বিয়ে হল। পাত্রী জানিয়েছেন এভাবে বিয়ে করতে কারই বা ভাল লাগে! মাত্র এ কজন লোক। তবু বিয়েটা যে ভালয় ভালয় হচ্ছে এটাই স্বস্তি। সব ভাল যার শেষ ভাল। ওরা চান করোনার সংকটকাল শেষ হোক।তারপর নয় আবার সবাই এক হওয়া যাবে।
See also  প্রেয়সীদের বাসনা পূরণের অর্থ জোগাড় করতে চৌর্যবৃত্তিতে নেমে দক্ষিণবঙ্গের পুলিশের ঘুম কেড়ে নেয় বাসুদেব

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি