রায়না বিধানসভার অন্তর্গত ১৫ টি অঞ্চল দিয়ে আজ বৈঠকে বসলেন রায়নার বিধায়ক নেপাল ঘোড়ই। প্রত্যেকটি অঞ্চলে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব অনুযায়ী তিনি জানিয়েছেন কোন অঞ্চলে আমফাণের জেরে ব্যাপক কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। বাড়ির পাঁচিল পড়ে যাওয়া, চাষের অল্পস্বল্প কিছু ক্ষয়-ক্ষতি সহ আনুষঙ্গিক বিষয়গুলি ধরে নিলে সব মিলিয়ে ক্ষয়ক্ষতির সংখ্যা ১০ থেকে ১২ টা। ধান চাষীরা আম্ফানে র আগেই ধান ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন যার কারণে ধান চাষে সেভাবে কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তিল চাষীদের বেশ কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এমন চাষীদের ক্ষতিপূরণ দেবে সরকার।
এছাড়াও তিনি বলেন অন্যান্য রাজ্যের থেকে বাংলা সব দিক থেকেই এগিয়ে আছে। করনা আক্রান্ত এবং মৃত্যুর হার অন্যান্য রাজ্যে তুলনায় বাংলায় বেশ কম। পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় করোনা টেস্টের সংখ্যা অনেক বেশি হয়েছে। তার মতে বাংলা অন্যান্য রাজ্যের থেকে যথেষ্ট ভালো জায়গাতেই দাঁড়িয়ে রয়েছে।
সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় বেলসর বিধায়ক জনসেবা কার্যালয় থেকে। উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক নেপাল ঘড়ুই, রায়না ১ ও রায়না 2 ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শৈলেন্দ্রনাথ সাঁই ও আনসার আলী খান, রায়না ১, ২ এর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রত্না মহন্ত ও পার্বতী ধারা মালিক, রায়না টু ব্লক যুব তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি সৈয়দ কলিমুদ্দিন, রায়না এক নম্বর ছাত্র যুব সভাপতি দীপ দত্ত , জেলা পরিষদের সদস্য তথা পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মদক্ষ উত্তম সেনগুপ্ত।