আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

ভোটার তালিকা সংশোধনের নজরদারির মধ্যেই রাজ্যের প্রকল্প তদারকিতে ১২ শীর্ষ আইএএসকে জেলায় পাঠানোর নির্দেশ নবান্নের

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

বাংলায় ভোটার তালিকা সংশোধন (SIR) ঘিরে যখন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ১৩ জন পর্যবেক্ষক জেলায় জেলায় নজরদারি করছেন, ঠিক সেই সময়েই নজরকাড়া নির্দেশ জারি করল নবান্ন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্যের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ তদারকির জন্য ১২ জন সিনিয়র আইএএস আধিকারিককে জেলা সফরে পাঠানো হচ্ছে।

এই ১২ জনের মধ্যে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের সচিব রয়েছেন। গ্রামোন্নয়ন, বিদ্যুৎ, তথ্য ও সংস্কৃতি, খাদ্য-সহ একাধিক দপ্তরের শীর্ষ কর্তারাই এবার সরাসরি মাঠে নেমে প্রকল্পের অগ্রগতি খতিয়ে দেখবেন। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলে যথেষ্ট চর্চা শুরু হয়েছে।

নবান্ন সূত্রে জানা গেছে, মুখ্য সচিব মনোজ পন্থের জারি করা নির্দেশিকা (অর্ডার নং ৯৮-CS/২০২৫, তারিখ ২ ডিসেম্বর ২০২৫) অনুযায়ী, ‘বাংলার বাড়ি’, ‘পথশ্রী-রাস্তারশ্রী’ এবং ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’—এই তিনটি বড় প্রকল্পের কাজ দ্রুত ও সময়বদ্ধভাবে শেষ করতেই এই পরিদর্শন কর্মসূচি শুরু হচ্ছে।

নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানানো হয়েছে, প্রতিটি জেলার জেলাশাসকের সঙ্গে সমন্বয় রেখে সংশ্লিষ্ট আইএএস অফিসাররা সরেজমিন পরিদর্শন করবেন। কাজের অগ্রগতি, বিলম্ব, জনঅভিযোগ ও বাস্তব সমস্যাগুলি খতিয়ে দেখে দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা করবেন। প্রয়োজনে নবান্নে বিস্তারিত রিপোর্ট ও সুপারিশও পাঠাতে হবে।

নবান্নের নির্দেশ অনুযায়ী জেলা ভিত্তিক দায়িত্ব বণ্টন নিম্নরূপ—কলকাতা পুরসভা: শান্তনু বসু, আইএএস,পশ্চিম মেদিনীপুর: মনীশ জৈন, আইএএস,পুরুলিয়া: সঞ্জয় বানসাল, আইএএস,আলিপুরদুয়ার: কৌশিক ভট্টাচার্য, আইএএস,জলপাইগুড়ি: দুষ্যন্ত নারিয়ালা, আইএএস,দার্জিলিং: মৌমিতা গোদারা বসু, আইএএস,মালদা: ডঃ পি. উলাগানাথন, আইএএস,দক্ষিণ দিনাজপুর: সুরেন্দ্র গুপ্ত, আইএএস,উত্তর ২৪ পরগনা: পারভেদ আহমেদ সিদ্দিকী, আইএএস,হুগলি: অঙ্কুর সিংহ মীনা, আইএএস,বীরভূম: শরদ কুমার দুবে, আইএএস, পূর্ব বর্ধমান: বন্দনা যাদব, আইএএস,পশ্চিম বর্ধমান: বরুণ কুমার রায়, আইএএস।

এদিকে, ভোটার তালিকা সংশোধন প্রক্রিয়ায় নজরদারির জন্য নির্বাচন কমিশনের পাঠানো ১৩ জন পর্যবেক্ষকের সঙ্গে নবান্নের এই পদক্ষেপকে ঘিরে প্রশাসনিক স্তরে নানা প্রশ্ন ও জল্পনা তৈরি হয়েছে। যদিও সরকারি ভাবে জানানো হয়েছে, দুই প্রক্রিয়ার মধ্যে কোনও সাংঘর্ষিক উদ্দেশ্য নেই। নবান্নের নির্দেশিকায় বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, জনঅভিযোগের নিষ্পত্তি যেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই হয় এবং তার উপরে আলাদা ভাবে নজরদারি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

See also  আড়াইশো বছর ধরে পূর্ব বর্ধমানের বড়শুলের ‘দে’ বাড়িতে পুজিত হচ্ছেন হরগৌরী।

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি