উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়নগর: বিনোদনের এক অন্যতম মাধ্যম নাটক।আধুনিকতার যুগে মোবাইল নির্ভর,কর্পোরেট কোম্পানিগুলোর কাজের তাগিদে মানুষ বইপত্র পড়া,নাটক দেখা থেকে সরে যাচ্ছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরনায় বৃহস্পতিবার থেকে চারদিনের দক্ষিন ২৪ পরগনা জেলা নাট্য মেলা শুরু হলো।

পশ্চিমবঙ্গ নাট্য একাডেমী আয়োজনে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের ব্যবস্থাপনায় জয়নগর মজিলপুর পৌরসভার সহযোগিতায় পঞ্চবিংশ নাট্য মেলা শুরু হয়েছে জয়নগর শিবনাথ শাস্ত্রী সদনে। যার শেষ হবে রবিবার। চারদিনের এই নাট্য মেলায় ছটি নাটক মঞ্চস্থ হচছে। প্রথম দিন নষ্ট নটী, দ্বিতীয় দিন তুরস্কের রূপকথা ও নীল সোনা,তৃতীয় দিন নষ্ট তারার গল্প ও পান্থ পাখি এবং শেষ দিন হৃদপিণ্ড নাটক মঞ্চস্থ হবে।

বৃহস্পতিবার জয়নগর মজিলপুর পৌরসভা থেকে তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরে আয়োজনে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্যে দিয়ে এই নাট্য মেলার শুভ সূচনা হয়। এদিনের এই শোভাযাত্রা পা মেলালেন জয়নগরের বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস,জেলা তথ্য সংস্কৃতি আধিকারিক অনন্যা মজুমদার, জয়নগর মজিলপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সুকুমার হালদার সহ আরো অনেকে। এদিন জয়নগর শিবনাথ শাস্ত্রী সদনে গিয়ে এই শোভাযাত্রা শেষ হয় এবং তারপরে প্রদীপ জ্বেলে এই নাট্য মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়।

এদিন এই নাট্যমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জয়নগরের সাংসদ প্রতিমা মন্ডল, জয়নগরের বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস,জয়নগর মজিলপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সুকুমার হালদার,ভাইস চেয়ারম্যান রথীন কুমার মন্ডল,জেলা পরিষদ সদস্য খান জিয়াউল হক, তপন কুমার মন্ডল,বন্দনা লস্কর,জেলা তথ্য সংস্কৃতিক আধিকারিক অনন্যা মজুমদার, পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুজিত সরখেল সহ একাধিক কাউন্সিলার সহ একাধিক আধিকারিক গন।এদিন সাংসদ বলেন,নাটকের মধ্যে দিয়ে শিক্ষা বাড়ে,জ্ঞান বাড়ে,নাটকের প্রতি মানুষের আগ্রহ কমে যাচ্ছে।

সবাই এগিয়ে আসুন নাটক দেখুন। বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস বলেন,মোবাইল আসক্ত সমাজে নাটকের শ্রোতা কমে গেছে।লাইব্রেরি আছে পাঠক নেই। জুতো থাকছে এসি রুমে আর বই পড়ে আছে ফুটপাতে।আসুন নাটক দেখুন, নাটককে ভালোবাসুন।








