উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, কুলতলি: শীত পড়ে গেছে,আর শীত মানেই বেড়ানো।আর সুন্দরবনে বেড়ানোর মজাটাই আলাদা।সুন্দরবনের অন্যতম প্রবেশদ্বার কুলতলি।আর এবার কুলতলির বিধায়কের উদ্যোগে সেজে উঠছে কুলতলি।সুন্দরবনের কুলতলির কৈখালি রাজ্যের অন্যতম একটি পর্যটন কেন্দ্র। প্রায় সারা বছরই পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে এই কৈখালিতে। কিন্তু জামতলা থেকে কৈখালি যাওয়ার যে ১২ কিলোমিটার রাস্তা আছে তা দীর্ঘ বেহাল অবস্থায় ছিলো। যার কারণে পর্যটক থেকে শুরু করে সুন্দরবনবাসীদের কাছে যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
কারণ রাস্তা দিয়ে শীতের ভরা মরশুমে বহু পর্যটকের আনাগোনা হয়। তার উপরে শীত পড়তে শুরু করেছে এই রাস্তা দিয়ে চলবে নানা ধরনের গাড়ি থেকে পর্যটকদের আশা শুরু হবে। তার ঠিক আগেই স্থানীয় বিধায়ক গনেশ চন্দ্র মন্ডলের প্রচেষ্টায় এই পিচের রাস্তাটি নবরূপে সজ্জিত হচ্ছে।কুলতলির কৈখালি যেমন আকর্ষণীয় পর্যটকদের কাছে, তেমনই মানুষের মন কাড়ছে দিনের পর দিন। কংক্রিটের নদী বাঁধ গভীর অরণ্য, ভিন্ন প্রজাতির পাখির কুজন সকালে সন্ধ্যায়। অরণ্য, নদীবক্ষে বিলাসবহুল নৌকা নিয়ে ঘোরা এবং আর কী নেই এখানে।এখানে রামকৃষ্ণ আশ্রম আছে।

এখানে একাধিক গেস্ট হাউসে বাইরের পর্যটকদের জন্য থাকার মনোরম পরিবেশ আছে। তেমনই সন্ধ্যাকালীন এই আশ্রমের সন্ধ্যারতি সত্যি মানুষকে টানে। তার উপরে বারে বারে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের লুকোচুরি আলাদা মাধুর্য। দীর্ঘদিন বুকের মধ্যে পুষে রাখা স্বপ্ন বাস্তবে রূপ পাচ্ছে তাই উচ্ছ্বসিত পর্যটক থেকে নদীর পাড়ের বাসিন্দারা। এলাকার বাসিন্দারা খুবই আনন্দিত। এখন নতুন করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখছে কৈখালির স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে কৈখালির পর্যটক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা।এ ব্যাপারে বিধায়ক গনেশ চন্দ্র মন্ডল বলেন,কৈখালি সুন্দরবনের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র।
তাই এই এলাকাকে সাজিয়ে তুলছি যাতে পর্যটকদের ভ্রমনে কোনো অসুবিধা না হয়।আমরা মানুষের পাশে থেকে এই ধরনের কাজ করি।আমি চাই কৈখালির মনোরম পরিবেশে আসুন সকলে, ভ্রমণ করুন, আনন্দ উপভোগ করুন।








