দিল্লির লালকেল্লার সামনে বিস্ফোরণের পরদিন সকালেই ভুটান সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জানা গেছে,সেখানে ভারতের সহযোগিতায় এক বিশাল জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের উদ্বোধন করবেন তিনি। যাওয়ার আগে বিহারের ভোটে বিজেপিকে সমর্থনের ডাক দিয়ে গিয়েছেন এবং ভারত–ভুটান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলে আশাবাদও প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু আপৎকালীন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরকে ঘিরে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
অনেকে ২৬/১১-র মুম্বই হামলার সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সাংবাদিক সম্মেলনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু দিল্লির বুকে এমন ভয়াবহ বিস্ফোরণের পরও প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের তরফে কোনো সাংবাদিক সম্মেলন হয়নি—এই বিষয়টি নিয়েই ক্ষোভ বাড়ছে বিভিন্ন মহলে।
দিল্লীর ঘটনার পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগ দাবি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ তথা তৃণমূল নেতা মোহাম্মদ অপার্থিব ইসলাম তীব্র ভাষায় বলেন, “দেশের এখন প্রয়োজন একজন যোগ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সর্বক্ষণের ঘৃণা প্রচারের মন্ত্রী নয়। অমিত শাহের কর্তব্য নয় কি দেশের সীমান্ত ও শহরগুলিকে সুরক্ষিত রাখা? কেন তিনি বারবার এই দায়িত্বে ব্যর্থ হচ্ছেন? যবে থেকে বিজেপি কেন্দ্রে এসেছে, বহিরাগতদের হামলা এবং অশান্তি বেড়েছে। দেশের মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। আমরা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করছি এবং অমিত শাহের পদত্যাগ দাবি করছি”।
তৃণমূলের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বারবার ব্যর্থ প্রমাণিত হচ্ছে। রাজধানীর বুকে এমন ঘটনা তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ।








