আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

সামান্য সবজি বিক্রেতার ছেলে! এশিয়ান ইউথ গেমসে ব্রোঞ্জ জিতে দেশের মুখ উজ্জ্বল করল মালদার পলাশ মন্ডল

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

মালদা: সামান্য এক সবজি বিক্রেতার ছেলে হয়েও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া জগতে অসামান্য সাফল্য অর্জন করলেন মালদার কৃতী ছাত্র পলাশ মন্ডল। সম্প্রতি বিদেশের মাটিতে আয়োজিত এশিয়ান ইউথ গেমসে হাঁটা প্রতিযোগিতায় মাত্র ২৪ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডে ৫০০০ মিটার হেঁটে ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করে সে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে। মালদা জেলার ইংরেজবাজারের বাগবাড়ি বাহান্ন বিঘা এলাকার বাসিন্দা পলাশের বাবার নাম গয়া মন্ডল, যিনি পেশায় একজন সামান্য সবজি বিক্রেতা। দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করেও, ছেলে পলাশ মন্ডল বর্তমানে মালদা শহরের বিভূতি ভূষণ হাইস্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র।

কঠোর প্রশিক্ষণ ও আন্তর্জাতিক
সাফল্য পড়াশোনার পাশাপাশি বেশ কয়েক বছর ধরে পলাশ মালদার ক্রীড়া প্রশিক্ষক অমিত রায়ের কাছে হাঁটা প্রতিযোগিতার প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল। সেই কঠোর প্রশিক্ষণের সুবাদেই সে প্রথমে দেশের মাটিতে হাঁটা প্রতিযোগিতার একাধিক ধাপ পেরিয়ে এশিয়ান ইউথ গেমস-২০২৫ এ অংশগ্রহণের সুযোগ পায়। গত ২৪শে অক্টোবর বাহরিনে আয়োজিত এশিয়ান ইউথ গেমসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিযোগীদের মধ্যে মালদার ছেলে পলাশ মন্ডল তৃতীয় স্থান অর্জন করে ব্রোঞ্জ পদক লাভ করে। এই নজরকাড়া সাফল্যের খবর পৌঁছতেই মালদা জেলাতেও খুশির হাওয়া বইতে শুরু করে।

মালদা ক্লাবের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা
ব্রোঞ্জ পদক জয় করে পলাশ মালদায় ফিরতেই রবিবার তাকে মালদা ক্লাবের পক্ষ থেকে বিশেষ সংবর্ধনা জানানো হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন:

  • মালদা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক: কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী
  • ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক: দেবব্রত সাহা
  • মালদা ক্লাবের সদস্য: কিশোর ভকত সহ অন্যান্যরা।তাঁরা পলাশের গলায় উত্তরীয় পরিয়ে দেন এবং হাতে পুষ্পস্তবক তুলে দিয়ে এই কৃতী ছেলেকে সংবর্ধিত করেন। সাধারণ পরিবারের এই ছেলেটির আন্তর্জাতিক মঞ্চে জয়জয়কার মালদার ক্রীড়াজগতে নতুন আশার সঞ্চার করেছে।
See also  মুখ্যমন্ত্রীর ’চপ শিল্পের’ কটাক্ষকে হারমানিয়ে ১ টাকা মূল্যে ’চপ’ বেচে বিত্তশালী হয়ে ওঠা হিমাংশু রোজগারে দিশা দেখাচ্ছে বেকারদের

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি