আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

একাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রীর দেহ উদ্ধার, এলাকায় উওেজনা, পলাতক প্রেমিক

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

কৃষকসেতু নিউজ বাংলা ডেস্ক:উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,নরেন্দ্রপুরঃ- দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার চড়কতলায় একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী সায়ন্তিকা মন্ডলের (১৭) দেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বুধবার বিকেলে এই ঘটনায় রীতিমতো শোক ও আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।

অভিযোগ, ঘটনার সময় ঘরের ভেতরে উপস্থিত ছিল সায়ন্তিকার প্রেমিক কৃষ দাস। স্থানীয় বাসিন্দারা দেখে ফেলতেই সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, তবে চিকিৎসক সায়ন্তিকাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।আর এই ঘটনার পর থেকেই পলাতক কৃষ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সায়ন্তিকার সঙ্গে প্রতিবেশী কৃষ দাসের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল কিছুদিন আগে। তবে কৃষের বিরুদ্ধে আগেও এলাকার একাধিক মহিলার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করার অভিযোগ ছিল। স্থানীয়রা জানান,মহিলাদের দেখিয়ে অশ্লীল ও জঘন্য কাজও সে করত। এ নিয়ে বহুবার কৃষের পরিবারের কাছে অভিযোগ জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বুধবার বিকেলে সায়ন্তিকা ও কৃষ ফোনে কথা বলছিল বলে পরিবারের দাবি।

ঘটনার কিছুক্ষণ আগে সায়ন্তিকা তার মাকে মেসেজ করে সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া ও ফোনের পাসওয়ার্ড পাঠিয়ে দেয়। তখন বাবা-মা দু’জনেই কাজে বাইরে ছিলেন এবং ছোট বোনও টিউশনে গিয়েছিল। ফলে বাড়িতে কেউ ছিল না।এক প্রতিবেশী মহিলা প্রথম সায়ন্তিকাকে খাটে শোয়ানো অবস্থায় দেখতে পান, তখনই তার পাশেই বসে ছিল কৃষ।

এরপরেই গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।এদিকে কৃষের বাবা জানিয়েছেন,আমার ছেলে যদি দোষী হয়, তাহলে তার উপযুক্ত শাস্তি হোক।বৃহস্পতিবার মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। নরেন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সায়ন্তিকার পরিবার। পুলিশ সূত্রে খবর, কৃষকে খুঁজে বের করতে তল্লাশি চলছে এবং ঘটনার তদন্ত জোরকদমে শুরু হয়েছে।

আর এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় শোকস্তব্ধ সায়ন্তিকার পরিবার ও প্রতিবেশীরা। তাদের দাবি, কৃষ দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করছিল, এবার যেন তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়।

See also  লকডাউনে অন্নের সংস্থান করতে না পারায় অভুক্ত থেকেই দিন কাটছে জামালপুরের তাঁতিদের

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি