আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

৭৯ তম স্বাধীনতা দিবসে তোড়কোনা জগবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ে রক্তদান শিবির

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

কৃষকসেতু নিউজ ডেস্ক:- “তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব”— বীর বিপ্লবী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর এই অমর আহ্বানকে মূলমন্ত্র করে পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের তোড়কোনা জগবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ে পালিত হল ৭৯ তম স্বাধীনতা দিবস।

দেশ স্বাধীন হবার আগেই প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয় আজও স্বাধীনতার সাক্ষী হয়ে আছে। প্রায় ১৩১ বছর আগে প্রবাদপ্রতিম আইনজীবী ও দানবীর স্যার রাসবিহারী ঘোষ এই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাই স্বাধীনতা দিবসের দিনে শহিদ বিপ্লবীদের শ্রদ্ধা জানিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শুরু হয় এক মহৎ কর্মসূচি— রক্তদান শিবির।

শিবিরটিতে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক ও শিক্ষক-শিক্ষিকা। বিশেষভাবে যোগ দেন প্রাক্তন ছাত্র তথা জামালপুর বিধানসভার বিধায়ক অলোক মাঝি, প্রাক্তন ছাত্র ও খণ্ডঘোষ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মীর শফিকুল ইসলাম, এবং বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ও পরিচালন সমিতির সভাপতি শ্যামল কুমার দত্ত। মূলত শ্যামল বাবুর নেতৃত্বেই এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন সম্ভব হয়।

শ্যামল কুমার দত্ত জানান, বিদ্যালয়ের অভিভাবক, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অশিক্ষক কর্মীরা সর্বতোভাবে সহযোগিতা করেছেন এই মহৎ কাজে। সংগৃহীত রক্ত বর্ধমান মেডিকেল কলেজের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

উল্লেখযোগ্য দিক:

মোট ৬৫ জন রক্তদাতা রক্তদান করেন, যার মধ্যে ৫ জন মহিলা রক্তদাতা ছিলেন।

আরও ৭ জন রক্তদাতা স্বাস্থ্যগত কারণে রক্ত দিতে না পারলেও, ভবিষ্যতে রক্তদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, আগামী দিনে শুধু রক্তদান নয়, ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্বাস্থ্যশিবির ও স্বাস্থ্য মেলারও আয়োজন করা হবে।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সৌমেন চৌধুরী বলেন—
“বিদ্যালয়ের প্রতিটি ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে বর্ধমান মেডিকেল কলেজের সহযোগিতায় স্বাস্থ্য শিবির আয়োজন করা হবে।”

স্বাধীনতা দিবসে এই রক্তদান শিবির সমগ্র এলাকায় এক বিশেষ আলোড়ন ফেলে দিল।

See also  কলকাতা পুরসভার 131 নম্বর ওয়ার্ডে এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা শুনলে আপনি চমকে উঠবেন

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি