পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য ও রাজ্য কৃষাণ মোর্চার সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ভরত ঢালি সোমবার উপস্থিত হন রামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুড়ুল এফপি স্কুলে আয়োজিত ‘আমার পাড়া, আমার সমাধান’ শিবিরে। সেখানে তৃণমূল ব্লক সভাপতি সেখ আব্দুল লালনের পাশে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনদরদী প্রকল্পগুলির ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।

ভরত ঢালি বলেন, “দীর্ঘদিন গ্রামের রাস্তা ও জলের সমস্যা ছিল। ব্লক সভাপতি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আগামী ছ’মাসে সমাধান হবে। মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেও জানিয়েছি”। তাঁর এই প্রশংসায় নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে—বিধানসভা ভোটের আগে কি তৃণমূলে যোগ দেবেন এই বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা? যদিও সে প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি।
তৃণমূল ব্লক সভাপতি সেখ আব্দুল লালন জানান, “দিদির প্রকল্পের সুবিধা সব মানুষই পাবেন। কারও সঙ্গে বৈষম্য করা হবে না। বিজেপি নেতারাও তার অংশীদার”।
বিজেপি নেতা ভরত ডালির বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ অপার্থিব ইসলাম তিনি বলেন, “আমাদের প্রিয় নেত্রী, বিশ্বজয়ী নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর আমরা অনুগত সৈনিক হিসেবে দেখেছি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাশাপাশি আমাদের প্রিয় তথা লোকপ্রিয় সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সঠিক- কে সঠিক বলেন এবং ভুল হলে তাকে ভুলই বলেন। সিপিআইএম মানেই যে পুরোপুরি খারাপ, বিজেপি মানেই যে পুরোপুরি খারাপ সেটা কখনোই নয়, তাদের মধ্যে এক শতাংশ হলেও কিছু কেমন ভালো মানুষ আছেন।

মানুষ তখন আরও ভালো হন যখন নিজের দোষকে কেউ স্বীকার করে নেন, নিজের ভুলকে যখন কেউ শুধরে নেন। আউসগ্রামের বিজেপি নেতাও ঠিক তাই করেছেন। তিনি রাতকে রাত বলেছেন, দিনকে দিন-ই বলেছেন। সবার প্রিয় দিদি-র কর্মকাণ্ডকে দেখে ভালো লেগেছে তাই বিজেপি নেতা প্রশংসা করেছেন।
আমি বলব তিনি সঠিক ব্যক্তি আছেন, কারণ তিনি বিরোধী দলের নেতা হয়েও রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সুনাম করেছেন। আউশগ্রামের বিজেপি নেতার প্রশংসা আমি করছি, কারণ তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কাজের যথাযোগ্য সম্মান দিয়েছেন বলে”।
তবে রাজনৈতিক মহলে এখন প্রশ্ন, বিজেপির শক্ত ঘাঁটিতে ভরত ঢালির এই অবস্থান কি বিজেপির জন্য অশনিসঙ্কেত?