উত্তরকাশীতে মেঘভাঙা বৃষ্টির পর হঠাৎ বন্যা ও ধসে এখনও পরিস্থিতি ভয়াবহ। সেনার তত্ত্বাবধানে চলছে লাগাতার উদ্ধার অভিযান। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অন্তত ৭০ জনকে নিরাপদে সরানো সম্ভব হয়েছে, তবে এখনো পর্যন্ত অন্তত ৫০ জনের কোনও খোঁজ মেলেনি। এখনও পর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দেরাদুনে সমস্ত স্কুল-কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার প্রবল বৃষ্টির জেরে সৃষ্টি হওয়া হড়পা বান ও ভূমিধসে মৃত্যু হয় ৪ জনের। বহু মানুষ নিখোঁজ হয়ে যান। নৈনিতাল, তেহরি, চামোলি, রুদ্রপ্রয়াগ, আলমোরা এবং বাগেশ্বর জেলার যোগাযোগ একপ্রকার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। উত্তরকাশীর ধারালি গ্রামের মর্মান্তিক দৃশ্য ধরা পড়েছে একাধিক ভিডিওতে, যা দেখে নেটিজেনরা শিউরে উঠছেন।

সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রবল জলের তোড়ে বহু বসতবাড়ি ছাড়াও গ্রামের অন্তত ২০-২৫টি হোটেল ও হোমস্টে সম্পূর্ণভাবে ভেসে গিয়েছে। ক্ষীরগঙ্গা নদী সংলগ্ন গ্রামাঞ্চলের ভয়ঙ্কর অবস্থা উঠে এসেছে ভাইরাল হওয়া ভিডিওগুলিতে। সেখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে—জলের স্রোতে ভেসে যাচ্ছে ঘরবাড়ি, দোকানপাট।
দুর্যোগের খবর পৌঁছাতেই উদ্ধার কাজ শুরু করে প্রশাসন। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এসডিআরএফ) ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ)।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশ (আইটিবিপি)-এর ১৬ জন সদস্যও মোতায়েন করা হয়েছে। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘উত্তরকাশীর ধারালি অঞ্চলে মেঘভাঙা বৃষ্টির ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও উদ্বেগজনক। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, জেলা প্রশাসন ও অন্যান্য সংস্থা উদ্ধারকাজে নেমেছে। আমি নিয়মিত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে। ঈশ্বরের কাছে সবার নিরাপত্তার জন্য প্রার্থনা করছি।’