প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বর্ধমান ৫ জুলাই

খেতে দেওয়া হত না। পরিবর্তে জুটতো মারধর।
পুত্র ও পুত্র বধূর এমন অমানুষিক অত্যাচারে শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হয় ষাট উর্ধ্ব বৃদ্ধা মা রেখা পালের ।
এমন অভিযোগ এনে পূর্ব বর্ধমানের নাদনঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বৃদ্ধার মেয়ে মিঠু পাল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে বৃদ্ধার ছেলে সন্তু পাল ও বৌমা কুমকুম পালকে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ।
দুই ধৃতকে শনিবার পেশ করা হয় কালনা মহকুমা আদালতে।বিচারক বৃদ্ধার ছেলেকে ৪ দিনের পুলিশ হেপাজত আর বৌমাকে ১৪ দিনের জেল হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,বৃদ্ধা রেখা
পালের বাড়ি নাদনঘাট থানার সমুদ্রগড় বাজার পাড়ায়। গত ৩ জুলাই সেই বাড়িতে পড়েছিল বৃদ্ধার নিথর দেহ ।তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। চিকিৎসক বৃদ্ধাকে মৃত বলে গোষণা করেন। মায়ের এই মৃত্যু মেনে নিতে পারেন না মেয়ে মিঠু পাল। তিনি তাঁর বৃদ্ধা মাকে খেতে না দেওয়া ও অত্যাচার করার অভিযোগ আনেন নিজের দাদা , বৌদি ও বৌদির মায়ের বিরুদ্ধে।
শুধু অভিযোগ আনাই নয় , নাদনঘাট
থানাতে গিয়েও মিঠু পাল অভিযোগ দায়ের করেন
। এমন অভিযোগ পেয়েই পুলিশ নডে চড়ে বসে।
মিঠু পালের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে পুলিশ বৃদ্ধার ছেলে ও বৌমাকে গ্রেপ্তার করে।
ধৃতরা নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করলেও আদলতে তা মান্যতা পায় নি। বৃদ্ধ মায়ের মৃত্যুতে ক্ষুব্ধ মেয়ে চাইছেন দাদা ও বৌদির দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি।