পূর্ব বর্ধমান জেলার পারুলিয়া কুলকামিনী উচ্চ বিদ্যালয়টি বিখ্যাত এবং ঐতিহ্যশালী একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে সম্প্রতি, স্কুলের ছাত্রদের অস্বাভাবিক কেশ সজ্জা স্কুল কর্তৃপক্ষের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করেছে। ছাত্ররা রঙিন চুল, অদ্ভুত ছাঁট এবং ‘বিসদৃশ’ কেশসজ্জা নিয়ে স্কুলে আসছে, যা দেখে শিক্ষকরা লজ্জিত হচ্ছেন।
বিসদৃশ কেশ সজ্জার কারণ এবং তা নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের উদ্বেগ
স্কুল কর্তৃপক্ষ এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, কারণ ছাত্রদের কেশ সজ্জা স্কুলের ঐতিহ্য এবং পরিবেশের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গি সম্পর্কিত। এর ফলে স্কুলের সম্মান ক্ষুণ্ন হতে পারে এবং শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত হতে পারে। তাই স্কুল কর্তৃপক্ষ একটি সভা আয়োজন করে, যাতে কেশ সজ্জার বিষয়টি শৃঙ্খলা সহকারে সমাধান করা যায়।
নাপিতদের শরণাপন্ন হওয়া এবং সভার আয়োজন
স্কুল কর্তৃপক্ষ সমস্যা সমাধানের জন্য স্থানীয় নাপিতদের শরণাপন্ন হয়েছেন। তাদের সাহায্যে, নতুন শিক্ষাবর্ষে ছাত্রদের ‘শোভন’ কেশ সজ্জা বজায় রাখতে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এজন্য, বৃহস্পতিবার একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে স্কুলের প্রধান শিক্ষক, এলাকার বিধায়ক এবং প্রায় ৩০ জন নাপিত উপস্থিত ছিলেন। সভায় অভিভাবকরা স্কুল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানান এবং এ বিষয়ে সহযোগিতা করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন।
অভিভাবক ও নাপিতদের প্রতিক্রিয়া
সভায় উপস্থিত অভিভাবকরা স্কুল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানান এবং বলেন যে, ছেলেদের কেশ সজ্জা শোভন হওয়া উচিত, যা ছাত্রদের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সাহায্য করবে। তারা আরও বলেন, শিক্ষার পাশাপাশি বিদ্যালয়ের পরিবেশও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং ছাত্রদের ‘বিসদৃশ’ কেশ সজ্জা তাদের মানসিকতারও পরিচায়ক হতে পারে।
শিক্ষকদের বার্তা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুব্রত সামন্ত বলেছেন, “স্কুল মানে শুধু পাঠদান নয়, এখানে ছাত্রদের মধ্যে শিষ্ঠাচার, আচরণ এবং শৃঙ্খলা গড়ে ওঠে।” তিনি আরও জানান, ছাত্রদের চুলের ‘বিসদৃশ’ ছাঁট বিদ্যালয়ের পরিবেশের পরিপন্থি, যা অগ্রহণযোগ্য। তিনি আশা করেন, ভবিষ্যতে ছাত্ররা শোভন কেশ সজ্জা বজায় রেখে বিদ্যালয়ে আসবে এবং বিদ্যালয়ের মর্যাদা বজায় রাখবে।