আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

মালিক-শ্রমিকের দুদিনের মানবিক সম্পর্কের উদহারণ হলেন দেবাশীষ সামন্ত

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now
মালিক-শ্রমিকের সম্পর্ক হোক বা রক্তের সম্পর্ক, এই সম্পর্ক পুরনো হয় না কোনদিনই, এমনকি শেষও নেই। বিগত দু’বছর ধরে বন্ধ বালি খাদ। তবুও বালি খাদের মালিক দেবাশীষ সামন্ত ভোলেননি তার পুরনো কর্মচারী বন্ধুদের। দেশজুড়ে লকডাউন এর জেরে কর্মহীন মানুষ যাতে দুবেলা-দুমুঠো খেতে পায় তার জন্য প্রত্যেককে 15 কেজি করে চাল তুলে দিলেন। বাদ গেলেন না দুস্থ অসহায় গ্রামবাসীরাও। সকলকে মিলিয়ে প্রায় 270 জনের হাতে অন্তত কিছু দিনের চলার মতন চাল তুলে দিলেন তিনি। গ্রামে অনেকেই আছেন যারা সহায়-সম্বলহীন খেতে পান না, তাদের জন্য দেবাশীষ সামন্ত অবারিত দ্বার।
পূর্বে মনিয়ারী,নবীনগঞ্জ,ফটিকগ্রাম,বাবলা সহ অন্যান্য বালি খাদানে কর্মরত শ্রমিকরাও ভোলেননি তাদের মালিক তথা বন্ধুকে। হ্যাঁ বন্ধুই বলা চলে। কারণ তিনি সকলকে সমান চোখে দেখতেন এ কথা স্বীকার করেছে জনৈক শ্রমিক তাপস সামন্ত। তিনি আনগুনা গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে দেবাশীষ সামন্ত রামেশ্বরম রাইস মিলের মালিক। রাইস মিলের তরফ থেকেও তিনি ইতিমধ্যেই খাদ্য সামগ্রী প্রদান করেছেন বেশ কিছু। সব মিলিয়ে সারা সপ্তাহ জুড়ে সাড়ে আটশ ক্ষুধার্তের অন্য যোগালেন তিনি।

ছোট থেকে সংগ্রাম করেই মানুষ, তারপর ধীরে ধীরে উন্নতির শীর্ষে পৌঁছেছেন, দরিদ্রের কষ্ট তিনি বোঝেন, এমনটাই জানিয়েছেন স্বয়ং দেবাশীষ সামন্ত। বালিখাদ দু’বছর ধরে বন্ধ থাকলেও অসময়ে সহায়তা পেয়ে মালিকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ তার শ্রমিক ভাইয়েরা। কৃষক সেতুর ক্যামেরায় উঠে আসা তাদের বক্তব্যই সেই কথা প্রমাণ করে।

See also  করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলায় পূ্র্ব বর্ধমানের চার পুরসভা ও বেশকিছু পঞ্চায়েত এলাকায় লকডাউন ঘোষনা প্রশাসনের

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি