জ্যোতির্ময় মন্ডল পূর্ব বর্ধমান।:- মন্তেশ্বর ব্লকের বাঘাসন অঞ্চলের তারাশুশুনা গ্রামের প্রায় ১২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী চার দিনের তারাক্ষা মাতার পুজোয় মাতলেন তারাশুশুনা গ্রাম, হোসেনপুর, জয়পুর, বাঘাসন, বাবুনপুর, আটাশপুর, ঘোড়াডাঙ্গা সহ ১৫ থেকে ১৮টি গ্রামের মানুষজন। তারাক্ষা
পূজার সমীরণ চ্যাটার্জি, হিরন্ময় চ্যাটার্জী, প্রবীর মুখার্জিরা বলেন এই তারাক্ষা চোখের দেবতা হিসেবে পূজা হয় । তাই এর নাম তারাক্ষা পূজা। তারাক্ষা দেবী সম্পূর্ণ কষ্টি পাথরের মূর্তি। এই দেবী বর্ধমানের মহারাজাদের দেবতা বলে কথিত আছে ।
কালাপাহাড়ের অত্যাচারে এই দেবীকে অক্ষত রাখার জন্য কে বা কারা তারাশুশুনা গ্রামের একটি দিঘিতে লুকিয়ে রেখেছিল। প্রায় ১২০০ শো বছর আগে তারাশুশুনা গ্রামের ভট্টাচার্যদের এক বংশধর স্নান করতে গিয়ে ওই দিঘী থেকে ওই দেবতাকে পায়। তারপর গ্রামে প্রতিষ্ঠিত করে পূজা আরম্ভ হয়। সেই থেকে এই তারাশুশুনা গ্রামে এই পূজা বাৎসরিক পূজা হিসাবে পূজিত হয়ে আসছে।এই পুজোটা প্রত্যেক বছর জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ় চম্পক চতুর্দশীতিথিতে শুরু হয়ে পাঁচ দিন ধরে চলে , এই পূজা আজও বর্ধমানের রাজাদের নামে সংকল্প হয়ে পূজা হয়।
আজ সকাল থেকেই লম্বা লাইন দিয়ে পুজো দেন এলাকাসহ, বিভিন্ন গ্রামের পুজো দিতে আসা মানুষজন।। তারাশুশুনা গ্রামের তারাক্ষা মাতার মন্দিরতলা এলাকার সংলগ্নে বিশাল এলাকা জুড়ে বসেছে মেলা। চোখের রোগের অনেকে মানত পূরণ হওয়ায় দণ্ডীকাটা, ছাগ বলি দেন অনেকে। এই এলাকার ১৫ থেকে ১৮টি গ্রামের প্রত্যেক বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন আসে। পূজা উপলক্ষে প্রত্যেকদিন আলাদা আলাদা ভাবে, বিভিন্ন সংস্কৃতি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
পুজো উপলক্ষে মেলায় বাচ্চাদের খেলনার সহ রকমারি সামগ্রীর দোকান বসেছে। তাই এই বছর তারাক্ষা পূজা আনন্দ উৎসাহের সঙ্গে হচ্ছে বলে জানান এলাকার পুজো দিতে আসা ও পূজা তলায় আসা মানুষজনরা। পূজা কমিটির সদস্যরা ও এলাকার বাসিন্দারা জানান এই পূজা উপলক্ষে পূজা তলায় প্রচুর লোকসমাগম হয়ে এই বাৎসরিক তারাক্ষা মাতার পুজো উপলক্ষে একটা মিলনক্ষেত্র তৈরি হয়।
তারাক্ষা পূজার সেবাহিত, পুজো দিতে আসা এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবী অসিত চ্যাটার্জি ও পূজা উপলক্ষে আসা এক আত্মীয় আমদের জানালেন ।