বাবু সিদ্ধান্ত বর্ধমান ১৪ এপ্রিল:- করোনা আতঙ্কের জেরে বাংলা নববর্ষ শুরুর দিনে দেবী সর্বমঙ্গলার আশীর্বাদ লাভ থেকেও বঞ্চিত হলেন ভক্তরা । রাজ রাজার শহর হিসাবে পরিচিত বর্ধমান। এই শহরের বাসিন্দারের আদি অধিষ্ঠাত্রী দেবী
হলেন কষ্টিপাথরের অষ্টাদশ ভূজা দেবী সর্বমঙ্গলা।রাজা মহাতাব চাঁদ সর্বমঙ্গলার মন্দির নির্মান করেন । এরপর ১৭৪০ সালে ওই মন্দিরে দেবী সর্বমঙ্গলার মূর্তিটি প্রতিষ্ঠা করেন বর্ধমানের মহারাজা কীর্তিচাঁদ ।
মন্দিরে দেবীর মূর্তি প্রতিষ্ঠার পরথেকে প্রতিদিন দেবীর নিত্যসেবা ,পুজোপাঠ ও ভোগঅন্ন বিতরণ সবই হয়ে আসছিল।প্রতিবছর ১লা বৈশাখের দিন ভোর থেকে ভক্তদের ভিড় উপচে পড়তো দেবী সর্বমঙ্গলার মন্দির চত্ত্বরে ।বছরে প্রথম দিন দেবীর আশীর্বাদ লাভ কামনায় অনেকেই যেমন আসতেন পুজোর ডালি নিয়ে পুজো দিতে ।তেমনি হালখাতার পুজো সারতেও বর্ধমানের বহু ব্যবসায়ী এই দিনটিতে সমবেত হতেন সর্বমঙ্গলা মন্দিরে । কিন্তু মারণ করোনা ভাইরাস আতঙ্কে এবছর সবকিছুরই উলোটপালট ঘটেগেছে । মঙ্গলবার ১লা বৈশাখের দিন মন্দিরের মেন গেট সহ তিনটে গেটেই থাকলো তালা বন্ধ। বছর শুরুর দিনে দেবী সর্বমঙ্গলার কৃপালাভ সম্ভব না হওয়ায় কিছুটা হলেও অনুতপ্ত ভক্তকুল ।
সর্বমঙ্গলা মন্দির ট্রাস্ট বোর্ডের সম্পাদক সঞ্জয় ঘোষ বলেন , করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ।এই বিষয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের নির্দেশ মেনে গত ১৮ মার্চ থেকে অর্নিদিষ্ট কালের জন্য সর্বমঙ্গলা মন্দিরে ভোগ বিতরণ, ভোগ খাওয়া ও ভোগ রান্না সবই বন্ধ করে দেওয়া হয়।এমনটা কোন কালে করতে হয়নি । করোনার থাবায় এবছর সব কিছুই যেন পাল্টে গেল ।