বাবু সিদ্ধান্ত বর্ধমান
পূর্ব বর্ধমানে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ।প্রতিদিনই জেলায় মিলছে করোনা আক্রান্তের হদিশ। গত ২৪ ঘন্টায় জেলার ১০ জনের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ার রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে । এই নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫ ছুঁইছুঁই । প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে ,গত ২৪ ঘন্টায় যাদের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে তাঁদের বেশিরভাগই পরিযায়ী শ্রমিক । মেমারি ২ ব্লকের ঝিকড়া এলাকা নিবাসী এই যুবকের করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে ।
সে দিল্লিতে শ্রমিকের কাজ করতো । কয়েকদিন আগে সে মেমারি ফেরে । তাঁকে মেমারি ২ ব্লকের সাতগেছিয়ার একটি কোয়রান্টিন সেন্টারেরা রাখা হয় । করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসার আগেই রবিবার রাতে ওই যুবক সহ কোয়রান্টিনে থাকা সব পরিযায়ীকে ছেড়ে দেওয়া হয়।এদিনই দিল্লি ফেরৎ ওই যুবকের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে । যুবককে এদিনই পাঠানো হয়েছে দুর্গাপুরে কোভিড হাসপাতালে ।পরিবার সদস্য সহ আরও কারা কারা যুবকের সংস্পর্শে এসেছিল তাঁদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছে প্রশাসন ।এর এদিন বিকেলে গড়াতে না গাড়াতেই মেমারি ২ ব্লকের বড়পলাশন ২ পঞ্চায়েত এলাকার এক যুবকের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ার রিপোর্ট আসে ।
এই যুবকও পরিযায়ী শ্রমিক । সে মুম্বইয়ে অলংকার তৈরির প্রতিষ্ঠানে কাজ করতো ।সেখান থেকে রবিবার দুপুরে সে ফিরেছে । ওই দিনই বর্ধমানে লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছিল ।একই দিনে মধ্যপ্রদেশ থেকে বর্ধমানের ফিরেছিলেন বর্ধমানের সদরঘাট এলাকা নিবাসী এক ব্যক্তি । তিনি সেখানকার একটি সংস্থায় কাজ করতেন ।রবিবার রাতে তাঁরও রিপোর্ট পজিটিভ আসে । অনেক নকানি চোবানি খেয়ে ওই ব্যক্তিকে এদিন খুঁজে বের করে দুর্গাপুরের কোডিড হাসপাতালে পাঠানো হয় ।

এরা ছাড়াও গলসির বিক্রমপুর এলাকার বাড়িতে ফিরে আসা এক পরিযায়ী শ্রমিকেরও করোনা আক্রান্ত হবার রিপোর্ট এসেছে । ওই আক্রান্ত ব্যক্তি কর্মসূত্রে মুম্বাইয়ে থাকতেন । কয়েকদিন আগে তিনি সহ জনা ১৪ পরিযায়ী শ্রমিক ট্রেনে চড়ে মুম্বাই থেকে বর্ধমানে ফেরেন । গলসির আক্রান্ত ব্যক্তি ভাতারের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ছিলেন । করোনা রিপোর্ট আসার আগেই কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে ছেড়ে দেওয়া হলে রবিবার রাতে তিনি গলসির বাড়িতে চলে আসেন । এদিন তাঁরও রিপোর্ট পজিটিভ আসে । রায়না ১ ব্লকের দুই পরিযায়ী শ্রমিকেরও করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে ।
আক্রান্তরা রায়নার সেহারাবাজার পঞ্চায়েতের খেমতা ও শ্যামসুন্দর পঞ্চায়েতের মাদানগর এলাকার বাসিন্দা। কয়েকদিন আগে দুজনেই মহারাষ্ট্র থেকে ফেরেন। ওই দিনই তাঁদের লালা রসের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয় ।এদিন তাঁদের দুজনেরই রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে ।একই ভাবে এদিনই জেলার জামালপুর ব্লকের এক জনের করোনা পজিটভ ধরা পড়েছে । আক্রান্ত বছর ৩৭ বয়সী ব্যক্তী জামালপুরের জৌগ্রাম পঞ্চায়েতের তুরুক ময়না এলাকার বাসিন্দা ।
মুম্বাইয়ের একটি অলংকার তৈরির প্রতিষ্ঠানে তিনি কাজ করতেন । সেখান থেকে ১৬ মে তিনি বর্ধমানে ফেরেন । রালা রসের নমুনা সংগ্রহ করে তাঁকে মাধবডিহির কোয়ারেন্টাই সেন্টারে রাখা হয় । রিপোর্ট আসার আগে রবিবার তাঁকে সেখান থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় । যুবক বাড়ি ফিরে আসার পর এদিনই তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। আউশগ্রাম ২ ব্লকের ভেদিয়া পঞ্চায়েত এলাকা নিবাসী এক পরিযায়ী শ্রমিকেরও করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে । ওই পরিযায়ী শ্রমিক গত ১৮ মে চেন্নাই থেকে বর্ধমানে ফিরেছিলেন ।

