আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

মেমারি থেকে ধৃত ২, পাক গুপ্তচর চক্রে জড়িত সন্দেহে তল্লাশি তৎপরতা তুঙ্গে

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

কৃষকসেতু,নিঃসংবাদ, পূর্ব বর্ধমান: পহেলগাম হামলার পর গোটা দেশে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা নজরদারি, পশ্চিমবঙ্গেও শুরু হয়েছে পাক-যোগ সন্দেহে ধরপাকড়। বর্ধমানের মেমারি থেকে গ্রেফতার দুই যুবক।

কাশ্মীরের পহেলগামে জঙ্গি হামলার পর দেশজুড়ে সতর্ক হয়েছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। কেন্দ্রীয় বাহিনী থেকে ইউটিউবার— পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে একের পর এক গ্রেফতার চলছে বিভিন্ন রাজ্যে। সেই তালিকায় এবার নাম উঠল পশ্চিমবঙ্গেরও।

পাক গুপ্তচর সন্দেহে পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থেকে ধরা হয়েছে দুই যুবককে। ধৃতদের নাম মুকেশ রজক ও রাকেশ কুমার গুপ্তা। রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (STF)-এর দাবি, ওই দুই যুবক মেমারির একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু সেই সংস্থার আড়ালেই চলছিল সন্দেহজনক কার্যকলাপ।

তদন্তকারীদের অভিযোগ, সক্রিয় সিম কার্ড ব্যবহার করে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বিদেশে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার করছিলেন ধৃতরা। একাধিকবার ওটিপি ও অন্যান্য সংবেদনশীল তথ্য পাঠানো হয়েছিল বিদেশের এক এনজিও-র কাছে। প্রশ্ন উঠেছে— ওই এনজিও আদৌ মানবিক কাজ করত, নাকি ছিল কোনও শত্রু দেশের হয়ে কাজ করা ছদ্মবেশী সংগঠন?

STF সূত্রের খবর, ধৃতদের পাকিস্তান বা বাংলাদেশে তথ্য পাচারের যোগ ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি, কোনও জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছিল কি না, তাও অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।

তদন্তে উঠে এসেছে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক— ধৃতরা কোনও আন্তঃরাজ্য তথ্য পাচার চক্রের অংশ কি না। প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ, মোবাইল কল রেকর্ড, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্টিভিটি— সব কিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

STF জানিয়েছে, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে এসেছে। তদন্তকারীদের অনুমান, আরও কেউ এই চক্রে জড়িত থাকতে পারে। আগামী দিনে এই তদন্তে আন্তর্জাতিক গুপ্তচর চক্র বা জঙ্গি সংস্থার যোগাযোগের দিকেও আলোকপাত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

See also  তিন সিভিক ভল্যান্টিয়ারের ও এক ভিলেজ পুলিশ এর বুদ্ধিমত্তায় ধরা পড়লো অলঙ্কারের দোকানে চুরির ঘটনায় জড়িতরা - উদ্ধার অলঙ্কার

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি