আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে নিজ প্রচেষ্টায় শিক্ষা দানে ব্যাস্ত এই শিক্ষক

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now
ছবি :- ইন্টারনেট

চারিদিকে যখন করোনা ভাইরাসের প্রকোপ,সবাই ভীত সন্ত্রস্ত।সকলে গৃহবন্দি।স্কুল ও কলেজ বন্ধ।এই রকম পরিস্থিতে এক দিশা দেখালো বাংলার শিক্ষক কৃশানু পাল।।বর্তমানে তিনি পূর্ব বর্ধমান জেলার তৈলাড়া গ্রামে বাসিন্দা।।পেশায় তিনি আচার্য সুকুমার সেন মহাবিদ্যালয় কলেজে গ্রন্থাগার কর্মী ও গৃহশিক্ষক।বাংলা গৃহ শিক্ষক হিসাবে পরিচিত অনেক দিন থেকেই।বিশেষ করে সাহায্য কারী শিক্ষক হিসেবে নামডাক প্রচুর।এই পরিস্থিতি তিনি সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে নিজ প্রচেষ্টায় শিক্ষা দানে ব্যাস্ত।নোটসকে পি.ডি.এফ বানিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে এই সোশ্যাল মিডিয়ায় মাধ্যমে পৌঁছে দিচ্ছেন।শুধু তাই নয় কনফারেন্স কলের মাধ্যমেও শিক্ষাদান করছেন।এই রকম পরিস্থিতে কোনো ভাবে পড়াশোনা থেমে নেই ছাত্র-ছাত্রী দের।।শিক্ষকের এই রকম আন্তরিকতায় খুশি বহু পড়ুয়ারা।শুধু নিজ এলাকা বা নিজ জেলা নয় ভিন্ন প্রান্তের ছাত্র-ছাত্রীরা উপকৃত হচ্ছে।বিশেষ ভাবে উপকৃত হচ্ছে কলেজ পড়ুয়ারা।

ছবি :- শিক্ষক কৃশানু পাল

কেশবপুর কলেজের এক ছাত্র সায়ন সরকার বলে,”কৃশানু স্যার ছাত্র-ছাত্রীদের উপকারে দিনের বেশিভাগ সময় দিয়ে থাকেন,এতে আমরা খুব উপকৃত হই।”আর একদল কলেজ ছাত্রী মৌটুসী,রিঙ্কু,প্রিয়াঙ্কা বলে,”কলেজ বন্ধ,তবে ব্যাক্তিগত ভাবে এই মানবিক কৃশানু স্যার এর দৌলতে আমাদের পড়াশোনার কোনো ঘাটতি হচ্ছে না।” তবে শিক্ষক কৃশানু পাল বলেন,”শিক্ষাদান ই আমার কর্তব্য।ছাত্র-ছাত্রী রাই আমার জীবনের একটা অংশ,ওদের কিছু দিতে পারলে তবে আমার মনের শান্তি আসে।ওদের প্রয়োজনে আমি সব সময় আছি ও থাকবো।গরীব ছাত্র ছাত্রী যারা আর্থিক সমস্যার জন্য পিছিয়ে যায় পড়াশোনা হতে,তাদের পাশে আমি আছি ও থাকবো।”সমাজের মানুষজন সাধুবাদ জানিয়েছেন এই স্যার কে,বর্তমানে এই রকম অবস্থায় এই অভিনব শিক্ষাদান পদ্ধতির জন্য।

See also  আধার কার্ডের মায়ের নামের জায়গায় যে ভুল রয়েছে যা শোধরাতেও লজ্জা পাচ্ছে ছেলে

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি