আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

সুদে নেওয়া টাকা শোধ করতে না পারায় গাছে বেঁধে দরিদ্র ফুচকা বিক্রেতাকে মার । গ্রেফতার দুই সুদ কারবারী ।

By krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

 প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়  বর্ধমান   ৬ নভেম্বর 

ড়া সুদে ধারনেওয়া টাকা শোধকরতে পারেন নি দরিদ্র ফুচকা বিক্রেতা । সেই টাকা আদায় করতে ফুচকা বিক্রেতা কচি দাসকে গাছে বেঁধে বেধড়ক  পেটানোর অভিযোগ উঠলো দুই সুদ কারবারীর বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এক ঘটনাটি বুধবার ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার বলগোনা গ্রামে । আহত ফুচকা বিক্রেতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ভাতার থানার পুলিশ  মারধোরের ঘটনায় জড়িত দুজনকে গ্রেফতার করেছে।পুলিশ সূত্রে জানাগেছে ধৃতদের নাম  সান্টু সেখ ও নয়ন সেখ।ধৃতরা বলগোনা এলাকারই বাসিন্দা বলে পুলিশ জানিয়েছে । 

 পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে ,ফুচকা বিক্রেতা কচি দাসের বাড়ি ভাতারের বলগোনা গ্রামে । ফুচকা বিক্রী করেই তিনি কোনরকমে সংসার চালান। পরিবার সদস্যরা জানিয়েছেন, পারিবারিক প্রয়োজনে কয়েকবছর আগে কচি দাস এলাকারই বাসিন্দা সান্টু শেখের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। সেই টাকার জন্য শতকরা ৪ টাকা হারে প্রতিমাসে সন্টু সেখকে সুদ দিতে হত কচি দাসকে । সম্প্রতি কচি দাসের বাবা মারা যান।এরপরথেকে কচি সুদের টাকা দিতে ব্যর্থ হয় ।চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ ও আসল মিলেয়ে সেই টাকা বর্তমানে ৯৮ হাজার টাকার দাঁড়িয়েছে ।

কচি দাসের স্ত্রী সন্তোষী দাস এদিন অভিযোগে বলেন, সেই  টাকা আদায়ের নামে এদিন দলবল নিয়ে তার বাড়িতে আসে সন্টু । তারা বাড়িতে ঢুকে প্রথমে ভাঙচুর চালায় ।পরে সন্টু ও তাঁর সঙ্গী নয়ন শেখ তাঁদের মোটর বাইকে কচি দাসকে জোরকরে চাপিয়ে নিয়েবেরিয়ে যায়  । এলাকার এক জয়গায় গামছা দিয়ে কচি দাসকে গাছে বেঁধে সন্টু ও নয়ন মিলে নির্মম ভাবে মারতে শুরু করে । স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ভাতার থানার পুলিশ সেখানে পৌছে কচি দাসকে উদ্ধার করে এবং  সন্টু ও কচিকে আটক করে থানায় নিয়েযায় । ফুচকা বিক্রেতার পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ সন্টু সেখ ও কচি সেখ কে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে বৃহস্পতিবার দুই ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পেশকরা হবে ।

See also  ৬২৪ বছরের ইতিহাসে এই প্রথমবার মাহেশের রথের রশিতে পড়লো না টান ,গড়াল না রথের চাকা

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি