আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

সাধারণের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে হঠাৎ করেই ঢুকেছে হাজার হাজার টাকা

By krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

বর্ধমান ( প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ) :- ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে হঠাৎ করেই হাজার-হাজার টাকা থেকে লক্ষাধিক টাকা!এমন ঘটনাই ঘটেছে কালনার নান্দাই এলাকায়।সোমবার সেই টাকা তুলতেই হিড়িক পড়ে যায় কালনার নান্দাই পন্চায়েতের বিভিন্ন এলাকার মানুষজনের মধ্যে।এলাকার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির সামনে লম্বা লাইনও চোখে পড়ে।অধিকাংশ গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে এমনিভাবে টাকা আসার কথা শোনা গেলেও কোথা থেকে কিভাবে এই টাকা এলো সেই সম্পর্কে তারা নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি।তবে অনেকের দাবি এই টাকা কোনো একটি বিমা কোম্পানি থেকেই আসছে।বাঁকুড়া জেলার মতোই পূর্ব বর্ধমানের কালনার নান্দাই এলাকার ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে বলে খবর চাউর হয়।অনেকের মোবাইলে সেই মেসেজও আসে।আর তারপরেই সকলের মধ্যেই টাকা তোলা ও পাশবই আপডেট করার হিড়িক পড়ে যায়। ঘন্টার পর ঘন্টা গ্রাহকদের লম্বা লাইনেও দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। আইমাপাড়া,নতুনগ্রাম,ঘুঘুডাঙ্গা, মির্জাপুর,নান্দাই গাবতলা,হাতিপোতা প্রভৃতি গ্রামের মানুষজনকে সোমবার সকাল থেকেই বিভিন্ন ব্যাঙ্কের সামনে ভিড় করতে দেখা যায়।সাত হাজার টাকা থেকে শুরু করে লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে বলে দাবি করেন বেশ কিছু গ্রাহক।নতুনগ্রামের বাসিন্দা সওকত আলি সেখ বলেন,‘আমার অ্যাকাউন্টে পঁয়ত্রিশ হাজার টাকা ঢুকেছে। আমি দশ হাজার টাকা তুলেছি।’ওই গ্রামেরই আর এক বাসিন্দা আনসার সেখ বলেন,‘আমি দশ হাজার টাকা পেয়েছি।আমার মতো অনেকেই পাচ্ছেন বলে শুনেছি।’নান্দাই গাবতলার বাসিন্দা উদয় ঘোষ বলেন,‘আমার অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার ৯৫৩ টাকা এসেছে।গত শুক্রবার ফোনে মেসেজ আসে।তবে অনেকেরই সাত,দশ,এগারো,বিরাশি হাজার  টাকা পর্যন্ত ঢুকেছে বলে বিভিন্ন জায়গায় আলোচনা চলছে।তবে এই টাকাটি কোনো একটি ইন্সুরেন্স থেকেই এসেছে বলে প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পারছি।এই বিষয়ে ব্যাঙ্কের এক ম্যানেজার সৌরভ রায়কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন,‘গ্রাহকদের পরিষেবা দেওয়াটাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা সেইটাই করছি।মানুষজন তাদের অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স জানতে চাইছেন আমরা সেটা জানাচ্ছি।’


   


See also  বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ ভবানীপুরে

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি