আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

সরকারী সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রী করতে না পেরে ধর্নায় বসেছে গলসির গলিগ্রামের চাষীরা

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

বর্ধমান ( প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ) :- প্রতিটি চাষী যাতে সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রী করতে পারে সেই বিষয়টি সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।খবরের কাগজে,টেলিভিসনে বিজ্ঞাপন দিয়ে তার প্রচারও চালানো হয়েছিল।এতসব কিছুর পরেও সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রির সূযোগ না মেলার অভিযোগ তুলেছেন পূর্ব বর্ধমানের গলসি ১ ব্লকের গলিগ্রামের চাষীরা। সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রীর  ব্যবস্থা করেদেবার দাবিতে  শনিবার সকাল থেকে এলাকার রাইসমিলে গেটের সামনে ধর্নায় বসেছেন গলিগ্রামের কয়েক শো চাষী। আর চাষীরা ধর্নায় বসতেই বেকায়দায় পড়ে যাওয়া প্রশাসনের কর্তারা দ্রুত সমস্যা সমাধানের পথ খোঁজার  চেষ্টা শুরু করে দিয়েছেন।যদিও চাষীদের সাফ জবাব মৌখিক আশ্বাসে আর চিড়ে ভিজবেনা। সরকারী সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রী করতে না পারা পর্যন্ত তারা ধর্না তুলবেন না  । 
ধর্নায় বসা গলিগ্রামের চাষী পুষ্পেন রায়, লবকুমার হুই, প্রসেনজিৎ ঘোষ প্রমুখরা বলেন , প্রতিটি চাষী যাতে সরকারী সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রী করতে পারে তার ব্যবস্থা করার নির্দেশ প্রশাসনকে দিয়েছিলেন   মুখ্যমন্ত্রী।  কিন্তু তার পরেও  গলিগ্রামের অধিকাংশ  চাষী এলাকার তিনটি রাইসমিলের কোনটিতেও  সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রী করার সূযোগ  পাননি ।তাঁদের   বঞ্চিত করা হয়েছেন । ধান বিক্রীর জন্য সমবায় সমিতিতে নাম রেজিস্ট্রেশন করিয়ে  রেখেও  লাভ হয়নি । অপর চাষী রহিম মল্লিক,মইদুল চৌধুরী প্রমুখ বলেন,সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রী করতে না পেরে তারা গলসি ১ ব্লকের বিডিও এবং জেলা খাদ্য দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষন করেছিলেন । কিন্তু কোন তরফে  সুরাহার ব্যবস্থা করা হয়নি । প্রশাসনের কর্তারা নিশ্চুপ থেকে গেছেন । চাষীরা বলেন , এই পরিস্থিতিতে একান্ত নিরুপায় হয়েই তাঁরা ধর্নায় বসতে বাধ্য হয়েছেন।  সরকার কিংবা প্রশাসন তাঁদের ধান সরকারী সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রীর ব্যবস্থা করে নাদেওয়া পর্যন্ত তাঁরা ধর্না চালিয়ে যাবেন । 
গলসি ১ নম্বর ব্লকের  সমবায় পরিদর্শক অনির্বান হাজরা জানান, চাষিদের সমস্যার কথা তিনি জানতে পেরেছেন কয়েকদিন আগে। চাষিদের সুরাহা দিতে তিনি উচ্চ কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন। অনির্বান বাবু জানান, চাষিদের সমস্যার দ্রুত সমাধানের  চেষ্টা তিনি  করবেন।


See also  কাটোয়া মিউনিসিপ্যালিটির তরফ থেকে দেওয়া করোনা হেল্পলাইন নাম্বার আজই লিখে রাখুন

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি