আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

সংসদে উঠল জয় হিন্দ কলোনির বাঙালি উচ্ছেদ ইস্যু, কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চাইলেন জুন মালিয়া

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

দিল্লির “জয় হিন্দ কলোনি” থেকে বাঙালি বাসিন্দাদের উচ্ছেদের বিষয়টি এবার আলোচনায় এল সংসদে। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের” হস্তক্ষেপ চাইলেন তৃণমূল সাংসদ “জুন মালিয়া”। তাঁর অভিযোগ, অবিলম্বে এই “বেআইনি উচ্ছেদ অভিযান” বন্ধ করা প্রয়োজন।

“বসন্তকুঞ্জে” অবস্থিত জয় হিন্দ কলোনি, যা একসময় রীতিমতো বাঙালিপাড়া বলেই পরিচিত ছিল, বর্তমানে বাসিন্দারা গভীর সঙ্কটে রয়েছেন। একদিকে উচ্ছেদের ভয়, অন্যদিকে জল ও বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ায় সমস্যার পাহাড় চেপে বসেছে তাঁদের জীবনে। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেস একাধিকবার তাঁদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়” ইতিমধ্যেই তাঁদের হয়ে বারবার আওয়াজ তুলেছেন। এমনকি তৃণমূলের প্রতিনিধিরাও কলোনিতে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। এবার সংসদেও বিষয়টি তুললেন তৃণমূল সাংসদ জুন।

“রুল ৩৭৭” এর আওতায় “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের” দৃষ্টি আকর্ষণ করে জুন উল্লেখ করেন, “জয় হিন্দ কলোনি” দিল্লির সবচেয়ে বড় বাঙালি বসতির মধ্যে অন্যতম। অভিযোগ, ওই অঞ্চলে থাকা বহু বাঙালি বাসিন্দার পানীয় জলের সংযোগ ও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। বাসিন্দারা বাধ্য হয়ে জল আনতে ট্যাঙ্কারের ব্যবস্থা করলেও পুলিশ ও আরপিএফ বাধা দেয় বলে অভিযোগ।

“জুন মালিয়া” বলেন, “এই জমি সংক্রান্ত বিষয়টি বর্তমানে আদালতের অধীন এবং চূড়ান্ত রায় এখনো হয়নি। তবুও সেখানে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হচ্ছে, যা সম্পূর্ণভাবে অমানবিক।”

তাঁর দাবি, বাসিন্দাদের কোনও আইনি সাহায্য দেওয়া হচ্ছে না, পুনর্বাসনের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে না। অথচ এদের অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে এ দেশে বসবাস করছেন। ফলে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত বিষয়টিতে সক্রিয়ভাবে হস্তক্ষেপ করা এবং সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে আইন মেনে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

See also  নদী ভাঙ্গনের পড় এবার কুমির আতঙ্ক পূর্বস্থলী ডাঙ্গাপাড়ায়

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি