দেশজুড়ে আর্থিক মন্দার বাজারে সরকারি কর্মচারীদের এই খুশির খবর ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বিধানসভা নির্বাচনের আগে মোড় ঘোরাতেই মুখ্যমন্ত্রীর এই পদক্ষেপ নিয়েছিলেন বলে মনে করেছিলেন রাজনৈতিক মহল। যদিও এ বিষয়ে সোমবার ক্যাবিনেট বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই সোমবারের বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রীর তরফে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কি না তার দিকে তাকিয়ে রয়েছে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা।
১৩ সেপ্টেম্বর নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামের প্রশাসনিক বৈঠকে সরকারি কর্মচারীদের জন্য ষষ্ঠ বেতন কমিশন চালু করার কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী বছরের শুরু থেকে পে কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী ২.৫৭ গুণ বেতন বৃদ্ধির সম্ভাবনার কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী।
পে কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী কর্মীদের এখনকার বেতনের তুলনায় ২.৫৭ গুণ বেতন বৃদ্ধি পাবে। অর্থাৎ যে সমস্ত কর্মীদের বেতন ৭ হাজার টাকা, তাঁদের বেতন ১৭,৯৯০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে। অন্যদিকে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের গ্র্যাচুইরিটি ৬ লক্ষ টাকা থেকে ১০ লক্ষ টাকা অবধি বৃদ্ধি পাবে।
২০১৬ সাল থেকে ষষ্ঠ বেতন কমিশন লাগু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখনও অবধি তা লাগু হয়নি। তাই ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে লাগু হওয়া নতুন বেতন কমিশনে কর্মীদের বকেয়া প্রাপ্য লাগু হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
এই মুহূর্তে ১৫ শতাংশ হারে বেতন পান রাজ্য সরকারের কর্মীরা। তাঁদের মুল বেতনের সঙ্গে বাড়িভাড়া ভাতা, মহার্ঘ ভাতা এবং চিকিৎসা ভাতাও যুক্ত হয়। সোমবার ক্যাবিনেট বৈঠকের পর রাজ্য সরকারের অর্থ দফতরের তরফে সিদ্ধান্তের কোনও বদল হয় কি না তার দিকেও তাকিয়ে রয়েছে কর্মচারী মহল।
দিন কয়েক আগেই দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। দিল্লি থেকে ফিরে এসে রাজ্যে এনআরসি হতে দেবেন না বলে আশ্বস্ত করেন তিনি। রাজ্যে দেউচা পাঁচামির চালু হলে বেকারত্বের হার কমবে বলে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার ষষ্ঠ বেতন কমিশন নয়া ঘোষণা সরকারকে অনেকটা রিলিফ দেবে বলেই মনে করছেন অনেকেই।