আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

মদের আসরে ঝামেলা জেরে মাধবডিহির তৃণমূল কর্মীকে খুন বিজেপি সমর্থকের,জেলা বিজেপি সম্পাদক জানিয়েছেন দল পশে নেই

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়

মদের আশরে বসে বিজেপি সমর্থক কৃষ্ণ হাঁসদাকে সজোরে  চড় মেরেছিলেন পূর্ব বর্ধমানের মাধবডিহির তৃণমূল কর্মী অনিল মাঝি। মার খেয়ে বেজায়  চটে গিয়ে  বছর ৫২ বয়সী তৃণমূল কর্মী অনিল মাঝি ওরফে কচি কে নৃশংস ভাবে খুন করে বসে কৃষ্ণ । পুলিশি  তদন্তে উঠে এসেছে এমনই  চাঞ্চল্যকর তথ্য । খুনের ধারায়  মামলা রুজু করে পুলিশ  বৃহস্পতিবার  ধৃতকে পেশ করে বর্ধমান আদালতে । বিচারক ধৃতের  ১০ দিন পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন । 

তৃণমূল কর্মী অনিল মাঝিকে  খুনের ঘটনা সামনে আসে বুধবার সকালে ।  মাধবডিহির সাঁইপুকুর থেকে উদ্ধার হয়  অনিল মাঝি ওরফে কচি (৫২) নামে এলাকার তৃণমূল কর্মীর মৃতদেহ। সেখান থেকে কিছুটা দূরে থাকা হাটগোড়ে পুকুর থেকে উদ্ধার হয় তৃণমূল কর্মীর মোটরবাইকটি।

মৃতদেহ উদ্ধারের পর দেখাযায়  ভারি কিছুদিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয়েছে তৃণমূল কর্মীর  মাথা । মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে এই খুনের ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। দলের সক্রীর কর্মীকে খুনের ঘটায়  বিজেপির লোকজন জড়িত দাবি করেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি স্বপন দেবনাথ । মৃতর স্ত্রী অনিতা মাঝিও  বুধবার মাধবডিহি থানায়  ৭ বিজেপি  নেতা ও কর্মীর নামে তাঁর স্বামীকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন ।

এরপরেই খোঁজ খবর চালিয়ে পুলিশ জানতে পারে  মঙ্গলবার রাতে মাধডিহির আদিবাসী পাড়ায়  কৃষ্ণ হাঁসদার সঙ্গে অনিল মাঝিকে দেখা গিয়েছিল । তারই সূত্র ধরে পুলিশ বুধবার  দুপুরে কৃষ্ণ হাঁসদাকে আটক করে  জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে  ।পুলিশের ম্যারাথন জেরার মুখেপড়ে কৃষ্ণ ঘটনার সবিস্তার  কবুল করে । 

BJP-supporter-murdered-Madhavdighi-tmc-paty-worker-district BJP secretary told party

পুলিশের দবি জেরায় কৃষ্ণ জানিয়েছে ,“ওই রাতে ঘটনাস্থলের কাছে সে ও আরো দুজন মিলে মদের আসর বসিয়েছিল । রাতে বাইক চালিয়ে নিজের বাড়ি যাবার সময়ে মদের আসর দেখে অনিল মাঝি দাঁড়িয়ে পড়ে । সেও  মদের আসরে যোগদেয় । অনিল মদের আসরে যোগদেবার পর অন্য দুজন চলেযায় ।  এরপর কৃষ্ণ ও অনিল  মিলে  মদ খেতে থাকে ।

কৃষ্ণর বক্তব্য , মদ খাওয়ার  সময়ে সে কেন বিজেপি করে এই প্রশ্ন তুলে অনিল তাঁকে সপাটে গালে চড় কষায় ।  সে পড়েযায় । এই ঘটনার পর রাগের বসে সে একটি মোটা বাঁশ যোগড় করে তাদিয়ে আনিলের মাথায় একাধিক বার আঘাত করে । মৃত্যু নিশ্চিৎ হবার পর কৃষ্ণ তৃণমূল কর্মী অনিলের মৃতদেহ টেনে নিয়েগিয়ে সাঁইপুকুরের কাদায় ফেলেদেয় ।

এরপর অনিলের বাইটি নিয়েগিয়ে সে ফেলে কিছুটা দূরের হাটগোড়ে পুকুরে ।জেরায় কৃষ্ণ হাঁসদা এমনটা কবুল করার পরেই পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে ।এদিন যখন পুলিশ গাড়িতে চাপিয়ে কৃষ্ণকে বর্ধমান আদালতে   নিয়েযাওয়া হচ্ছিল তখন সে বলে,  “তাঁকে অনিলদা চড় না মারলে সে এই ঘটনা ঘটাটো না। ” পুলিশ জানিয়েছে কৃষ্ণ হাঁসদাকে হেপাজতে নিয়ে খুনের ঘটনার পুনর্নির্মান করা হবে । 

জেলা বিজেপি সম্পাদক বিজন মন্ডল বলেন, মদের আসরে বসে কে কি ঘটনা ঘটাচ্ছে তার দায় বিজেপির নয় ।রাজ্যে এমনন হাজার হাজার মানুষ আছে যারা নিজেকে বিজেপি সমর্থক বলে দাবি করে ।কেউ নিজেকে বিজেপি সমর্থক বলে দাবি করে কোন অপকর্ম করলে তার দায় বিজেপি দলে নবে না।

See also  দিদিকে বলো কর্মসূচিতে যোগদিতে যাবার সময়ে বেপরোয়া বাইকের ধাক্কায় মৃত্যু তৃণমূল কর্মীর

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি