আমিরুল ইসলামের রিপোর্ট
গতকাল বড় বেলুনের বড়মায়ের বিসর্জন ছিল ।সেই বিসর্জনে কয়েক হাজার মানুষ সামিল হয়েছিলেন। ভাতারের রবীন্দ্রপল্লী এক পরিবারের মা ও ছেলে গিয়েছিলেন ওই বিসর্জন দেখতে । ওই মা ছেলের নাম অভিজিৎ মন্ডল, ও পুষ্প মন্ডল,।
পুষ্প দেবী যখন তার পোশাক পরিবর্তন করছিলেন তখন লক্ষ্য করেন তার গলার মধ্যে থাকা দুই ভরি ওজনের সোনার হার নেই।
এরপরই বাড়ির সকল সদস্যের মন খারাপ হয়ে যায়। এত ভিড়ের মধ্যে মনে হয় যেন কেউ ছিনিয়ে নিয়েছে এ রকমই চিন্তা-ভাবনা করেন পরিবারের লোকজন।
অপরদিকে যে টোটো তে পুষ্প দেবী এসেছিলেন তার বাড়ি ভাতারের খুন্না গ্রামে, নাম সঞ্জীব সামন্ত। প্রায় দুই বছর ধরে তিনি টোটো চালাচ্ছে ভাতারের বিভিন্ন রাস্তায়।
গতকাল রাত্রে তিনি যখন টোটো তে চার্জ দিতে যান তখন তিনি দেখতে পান তার টোটোর মধ্যে একটি হাড় পড়ে রয়েছে। তিনি অনুমান করেন ভাতার বাজারের রবীন্দ্রপল্লী যে কাকিমাকে নিয়ে এসেছিলেন তারই হতে পারে হারটি। আজ সকাল দশটায় তিনি রবীন্দ্রপল্লী তে এসেঅভিজিৎ মন্ডলের বাড়িতে জিজ্ঞাসা করেন তাদের কোন জিনিস কালকে খোয়া গেছে কিনা ।
তখন তারা জানায় তাদের গলার হার খোয়া গেছে।
সঙ্গে সঙ্গে সেই হার টি ফিরে দেয় টোটো চালক সঞ্জীব সামন্ত।
তার এই সততা দেখে খুশি ভাতার এলাকার মানুষজন সকলেই প্রশংসা করেছে ওই টোটো চালকের।
রবীন্দ্রপল্লী বাসিন্দা ছোটন রাই জানান, বর্তমান সমাজে এরকম সৎ মানুষ আছে বলে পৃথিবীটা এখনো চলছে ।আমি ওকে বাহবা দিয়ে ছোট করবো না। আমি চাই সকলের মনোভাব এরকম হওয়া উচিত।
অপরদিকে টোটো চালক,জানান আমাকে খুবই ভালো লাগছে আমি ওই হারটা ওনাকে ফিরিয়ে দিয়েছি।
তাই সততার নজির গড়লেন ভাতারের এক টোটো চালক।