আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

ভাঙা পায়েও লড়াইয়ের ময়দানে পন্থ, মনে করালেন কুম্বলের সাহসিকতা

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

‘…”।’ টেস্ট ফরম্যাটের সৌন্দর্য এখানেই—শরীর বিধ্বস্ত হলেও দেশের ডাকে সাড়া। ম্যাঞ্চেস্টার টেস্টের প্রথম দিনে ‘রিভার্স সুইপ’ খেলতে গিয়ে চোট পান ঋষভ পন্থ। দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই জানা যায়, “…”। অন্তত ছয় সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে তাঁকে। তবুও, নিজের সবটুকু উজাড় করে দলের প্রয়োজনে নামলেন মাঠে। এমন সাহসিকতাই দেখা গেল ম্যাঞ্চেস্টারে। ‘…”।’

২০০২ সালে অ্যান্টিগায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে খেলতে গিয়ে চোয়াল ভাঙলেও মাঠে নেমেছিলেন অনিল কুম্বলে। ব্যান্ডেজ বাঁধা মুখে ১৪ ওভার বল করেছিলেন তিনি। তাঁর সেই অদম্য সাহস আজও অনুপ্রেরণা। এবার সেই দৃশ্য যেন ফিরে এল পন্থকে ঘিরে। দ্বিতীয় দিন যখন ভারতের ইনিংস ৩০০ পেরিয়ে গিয়েছে, হঠাৎ ক্যামেরায় ধরা পড়েন পন্থ। ভারতীয় জার্সি পরে দাঁড়িয়ে আছেন ড্রেসিংরুমে। দর্শকদের অভিবাদনে বুঝিয়ে দিলেন—‘…”’।

৪১ রান করে সাজঘরে ফিরলেন শার্দূল ঠাকুর। এরপরেই ব্যাট হাতে নামলেন পন্থ। গোটা স্টেডিয়াম উঠে দাঁড়িয়ে অভিনন্দন জানাল তাঁকে। দ্বিতীয় দিনে ফের রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে চোট পেয়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে গলফ কার্টে করে মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। ইন্ডোরে চিকিৎসা করা হয়। তখন পাশে ছিলেন শুভমান গিল এবং ব্যাটিং কোচ সীতাংশু কোটাক। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

একজন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী লেখেন, ‘…”।’ আর একজন মন্তব্য করেন, ‘…”।’ দ্বিতীয় দিনে ভারতীয় দল যখন মাঠে প্রবেশ করে, তখন দেখা যায় পন্থও আছেন। হাতে ক্র্যাচ, ডান পায়ে সাপোর্ট জুতো। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল চোট গুরুতর। তা সত্ত্বেও ব্যাট হাতে নামলেন। লাঞ্চের আগে দু’টি রানও তুললেন। প্রতিটি রানের জন্য দর্শকসভার অভিবাদন পেলেন। এটাই টেস্ট ক্রিকেটের আসল সৌন্দর্য। এই কারণেই একে ‘…”।’

দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে রবীন্দ্র জাদেজা আউট হলেও, শার্দূল ও ওয়াশিংটনের দাপটে ভারতের স্কোর ৩০০ ছাড়ায়। বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ের আগে লাঞ্চ হয়ে যায়। ভারতের সংগ্রহ তখন ৬ উইকেটে ৩২১ রান। অপরাজিত দুই ব্যাটার—”…” ও “…”।

See also  ভারতীয় দলের কোচ হওয়ার আগে BCCI এর সামনে ৫টি শর্ত রেখেছেন গৌতম গম্ভীর

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি