প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বর্ধমান ৭ জুন

বালি ব্যবসা নিয়ে শত্রুতার জেরে খুন হলেন এক ট্র্যাক্টর চালক।মৃতর নাম গোলাম মোর্তাজা শেখ(২১)।তাঁর বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের কালনার নান্দাই পঞ্চায়েতের হাতিপোতা গ্রাম।
মঙ্গলবার সকালে কালনার পুরাতনহাট এলাকা থেকে পুলিশ ওই যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করে।ময়নাতদন্তের জন্যে এদিনই যুবকের মৃতদেহ পাঠানো হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ মর্গে ।
মৃতের বাবা আবুল মোজেম শেখ দাবী করেন
,ব্যবসায়িক শত্রুতায় তাঁর ছেলেছে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে।এই সংক্রান্ত অভিযোগও পুলিশকে জানান মৃতর পরিবার।তার ভিত্তিতে কালনা থানার পুলিশ খুনের মামলা রুজু করে অভিযুক্তদের সন্ধান চালাচ্ছে ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,কালনার হাতিপোতা গ্রাম নিবাসী যুবক গোলাম মোর্তাজা শেখ পেশায় ছিলেন ট্র্যাক্টর চালক। ওই ট্রাক্টরে করেই তিনি ভাগীরথী নদির বালি বহনের কাজ করতেন।সোমবার তিনি কালনার কোম্পানিডাঙা এলাকায় থাকা ভাগীরথীর ঘাট থেকে বালি তুলে ট্র্যাক্টরে বহন করছিলেন ।মৃতর পরিবারের অভিযোগ,
বালি বহন করার সময়ে ওইদিন রাত ১০ টা নাগাদ স্থানীয় কয়েকজন মোর্তাজার পথ আটকায়।বালি ব্যবসা করা চিরতরে ঘুচিয়ে দেবে বলে হুমকি দিয়ে ওই ব্যক্তিরা মোর্তাজাকে মারধোর করে।এমনকি ট্র্যাক্টরেও ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ।ঘটনাস্থল থেকেই ট্র্যাক্টর মালিককে
সেই কথা জানান গোলাম মোর্তাজা ।ট্র্যাক্টর
মালিক ঘটনাস্থলে গিয়ে সবাইকে বোঝান ।
তখনকার মতো মীমাংসাও হয়ে যায়।এরপর মোর্তাজা ফের ট্রাক্টরে করে বালি বহনের কাজ শুরু করেন। রাত্রি তিনটে নাগাদ ওই একই ব্যক্তিরা পুণরায় মোর্তাজাক ব্যাপক
মারধর করে বলে অভিযোগ মৃতের পরিবারের ।এদিন পুরাতনহাটের কাছে খালে যুবকের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা।
সেই খবর পেয়ে কালনা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছায় ।যুবককে উদ্ধার করে পালিশ কালনা হাসপাতালে নিয়ে যায়।সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোর্তাজাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন । মৃতের বাবা আবুল মোজেম শেখ পুলিশকে অভিযোগে জানান,ব্যবসায়িক শত্রুতায় তাঁর ছেলেকে খুন করে খালে দেহ ফেলে দেওয়া হয়েছে ।খুনের ঘটনাকে আড়াল করতে অভিযুক্তরা তাঁর ছেলের ট্র্যাক্টরটিকেও উল্টে দিয়েছিল ।”
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ধ্রুব দাস জানিয়েছেন,“ ট্র্যাক্টর চালকের মৃত্যুর ঘটনার
তদন্ত শুরু হয়েছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট ধারায় কেস রুজু করা হয়েছে“ ।