বর্ধমান ( প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ) :- শ্বশুর বাড়ির চাপ সত্ত্বেও বিয়ের পণের অতিরিক্ত টাকা বাবার বাড়ি থেকে আনতে যেতে চায়নি বধূ।তার বদলা নিতে বধূকে নৃশংস ভাবে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠলো স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে।চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের মাহাত্তুবাপুর গ্রামে ।খুনের ধারায় মামলা রুজু করে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ বধূ মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে মৃত বধূর নাম শাহ রেজিনা বেগম (৩১)। মাহাত্তুবাপুর গ্রামে বধূর শ্বশুর বাড়ি।রবিবার রাতে শ্বশুরবাড়ির ঘরথেকে বধূর রক্তাত ও ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পরথেকেই গা ঢাকা দিয়েছে বধূর স্বামী শাহ মিরাজ হোসেন,শ্বশুর শাহ এমারুল হোসেন ও শাশুড়ি কায়েমুন্নেসা বেগম। সোমবার কাটোয়া হাসপাতাল পুলিশ মর্গে মৃত বধূর মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়। বধূর বাবার অভিযোগ জামাই , শ্বশুর ও শাশুড়ি মিলে তাঁর মেয়েকে নৃশংস ভাবে কুপিয়ে খুন করেছে।
দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতারের তৎপরতা শুরু করেছে ।
ভাতার থানার কালটিকুরি গ্রামে বধূ রেজিনা বেগমের বাবার বাড়ি।দশ বছর আগে মঙ্গলকোটের মাহাত্তুবাপুর গ্রামের যুবক শাহ মিরাজ হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় রেজিনার। তার ৭ বছর বয়সী একটি পুত্র সন্তান ও ৫ বছর বয়সী ১ টি কন্যা সন্তান রয়েছে । বধূর বাবা সেখ রেজাউল হক জানিয়েছেন , তিনি তাঁর মেয়ের বিয়ে দেবার সময়ে শ্বশুর বাড়ির দাবি মত নগদ টাকা , সোনার গহনা আসবাব পত্র সবকিছু দিয়েছিলেন।বিয়ের পর বছর খানেক রেজিনার সংসার জীবন ভালো ভাবেই কাটে। শ্বশুর বাড়িতে রেজিনার জীবন দুর্বিষহ
হয়ে ওঠে এরপর থেকে।রেজাউল হক বলেন ,
বাবার বাড়ি থেকে বিয়েতে কম পণ দিয়েছে বলে জামাই ,শ্বশুর ও শাশুড়ি রেজিনা বলতে শুরু করে।পরে তারা বাবার বড়ি থেকে অতিরিক্ত পণের টাকা আনার জন্য রেজিনার উপর চাপ সৃষ্টি করা শুরু করে । রেজাউল হক জানান , তিনি যথ সামান্য রোজগার পাতি করে সংসার চালান । তাসত্ত্বেও মেয়ের সুখের কথা ভেবে তিনি একাধিক বার মোটা আঙ্কের টাকা মেয়ের হাতে দিয়ে শ্বশুর বাড়ি পাঠিয়েছেন । জামাই সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন রবিবার ফের বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য রেজিনার উপর চাপ সৃষ্টি করেচলে।রেজাউল হকের অভিযোগ ,সেই দাবি না মানায় জামাই ,শ্বশুর ও শাশুড়ি মিলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে রেজিনাকে নৃশংস ভাবে কুপিয়ে খুন করেছে । মঙ্গলকোট থানার পুলিশ জানিয়েছে ,তদন্ত শুরু হয়েছে । অভিযুক্তদের খোঁজ চালানো হচ্ছে ।
krishna Saha
আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি