আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

বাঁকুড়া হাওড়া ভায়া সেহারা-বাজার ইন্টারসিটি ট্রেন চালানোর দাবী জানিয়ে পূর্ব রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজাকে চিঠি ,বাঁকুড়ার প্রাক্তন CPIM সাংসদ

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

হাওড়া ভায়া মশাগ্রাম ইন্টারসিটি ট্রেন চালানোর দাবী জানিয়ে পূর্ব রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজারের কাছে চিঠি পাঠালেন, বাঁকুড়ার প্রাক্তন সাংসদ, ইউপিএ আমলের প্রাক্তন রেলওয়ে স্ট্যাণ্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ও সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বাসুদেব আচারিয়া।

প্রাক্তন সাংসদ বাসুদেব আচারিয়া ওই চিঠিতে লিখেছেন, রেল কর্তৃপক্ষ বহু টাকা খরচ করে গেজের সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের কাজ করলেও মানুষ উপকৃত হচ্ছেননা। অবিলম্বে বাঁকুড়া-হাওড়া ভায়া মশাগ্রাম ইন্টারসিটি ট্রেন চালানোর দাবী জানিয়েছেন তিনি। 


প্রসঙ্গত, ‘বড় দুঃখের রেল’ হিসেবে এক সময় পরিচিত বিডিআর রেল লাইনটি ১৯৯৬ সালে দক্ষিণ পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ অধিগ্রহণ করে। ১৯৯৯ সালে ব্রডগেজ লাইন তৈরীর কাজ শুরু হয় ও ২০০৪ সালে তা মশাগ্রাম পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়। এই রেলপথে একদিকে যেমন বাঁকুড়া-বর্ধমান সীমান্তের ইন্দাস-পাত্রসায়র এলাকার অসংখ্য গ্রামের মানুষের জেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়। অন্যদিকে তেমনই বাঁকুড়ার সঙ্গে বর্ধমানের যোগাযোগ ব্যবস্থাও সুগম হয়। উপকৃত লক্ষ লক্ষ মানুষ।

এই বিষয়ে বাঁকুড়ার প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ বাসুদেব আচারিয়া প্রতিবেদককে টেলিফোনে বলেন, এই রেলপথকে সরাসরি হাওড়ার সঙ্গে যুক্ত করার দাবী প্রথম দিন থেকেই জানিয়ে আসছি। এখন বাঁকুড়া থেকে হাওড়া যেতে যে সময় লাগে, মশাগ্রাম হয়ে বাঁকুড়া-হাওড়া ট্রেন চললে তা থেকে অন্তত দেড় ঘন্টা কম সময় লাগবে।
এখন ওই পথে বাঁকুড়ার মানুষকে হাওড়া যেতে হলে মশাগ্রামে নেমে লোকাল ট্রেন ধরতে হয়। সমস্ত ধরণের পরিকাঠামো থাকা সত্ত্বেও রেল কর্তৃপক্ষ বাঁকুড়া-হাওড়া ভায়া মশাগ্রাম রেল পরিষেবা চালু করছে না বলে তিনি অভিযোগ করেন। চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি এই বিষয়ে আলোচনার জন্য তিনি পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজারের সঙ্গে দেখা করে বিস্তারিত আলোচনা করবেন বলেও জানান।

প্রস্তাবিত ছাতনা-মুকুটমনিপুর রেলপথ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে বাসুদেব আচারিয়া বলেন, তিনি নিজে উদ্যোগ নিয়ে বাঁকুড়ার জঙ্গল মহলকে রেলপথে যুক্ত করতে চেয়েছিলেন। জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রেও কোনও সমস্যা হয়নি। ইন্দপুরের ভেদুয়াশোল পর্যন্ত কাজও হয়েছিল। তারপর ফি বছর বাজেটে অর্থ বরাদ্দ হলেও আর এক চুলও কাজ এগোয়নি। বিষয়টি নিয়েও তারা দলীয়ভাবে আন্দোলনে নামবেন বলেও তিনি জানান।

See also  সাতসকালে ভূমিকম্প পশ্চিমবঙ্গে, কেঁপে উঠল বেশ কয়েকটি এলাকা

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি