বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী দেবী সর্বমঙ্গলা।তিনি বাংলার লৌকিক দেবতা ও বটে। তিনি মুলত বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা মন্দিরে পুজিত হন।এই মন্দিরটিকে অনেকে শক্তিপীঠ বলেন।সেই মতে এখানে দেবীর নাভি পরেছিল।দেবী সর্বমঙ্গলা ও ভৈরব শিব/মহাদেব ।
সর্বমঙ্গলা মন্দিরের নিত্যপুজো ও ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে রাজবংশের শেষ যুবরাজ উদয়চাঁদ মহতাব ট্রাস্ট কমিটি গঠন করেন।তাঁর পুজো প্রায় সাড়ে তিনশো বছরেরও বেশি পুরোনো। সর্বমঙ্গলার ঘট প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে শারদোৎসবের আনুষ্ঠানিক সূচনা করা হয়ে থাকে পূর্ব বর্ধমানে।কুমারি পুজাও হয়।
মহানবমীতে বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সর্বমঙ্গলা মন্দিরে নব কুমারী পুজোর আয়োজন করা হয়। সর্বমঙ্গলা মন্দিরের রীতি মেনে নবমী তিথিতে নয় কুমারীকে দেবী রূপে পুজো করা হয় এদিন। বর্ধমানের শ্যামসায়র রামকৃষ্ণ আশ্রম সহ বিভিন্ন জায়গায় মহাষ্টমীতে কুমারী পুজো হয়। আবার কোথাও কোথাও দশমীর দিনেও কুমারী পুজো হয়ে থাকে। কুমারী পুজো উপলক্ষে এদিন সর্বমঙ্গলা মন্দিরে ভক্তদের ঢল নামে।