পাল্লারোডের মন্টু রায়ের মা স্বর্গীয়া কল্পনা দেবী মারা যান কয়েকদিন আগে। গতকাল ছিল তার শ্রাদ্ধানুষ্ঠান শেষে নিয়মভঙ্গ; সেখানে বেশ কিছু খাবার বেঁচে যায়। পরিবারের সদস্য যিশু ও মন্টুবাবু যোগাযোগ করেন পল্লিমঙ্গল সমিতির সাথে বিকালে ৪.১৫ নাগাদ, ভাত ২ রকম তরকারী ও মিষ্টি বেড়েছে। ১মিনিটও না ভেবে এই খাবার বিলির দায়িত্ব নেয় পল্লীমঙ্গল সমিতি।
তরিঘড়ি ভ্যানে করে খাবার পৌছানো হয় পাল্লারোড স্টেশনে, ৫.১৫ র আপ লোকাল ট্রেনে চেপে ২২কিমি পথ পেরিয়ে অভুক্তদের জন্য তা পৌছায় বর্ধমান স্টেশনে। এরমধ্যে পল্লিমঙ্গল সমিতি র তরফে যোগাযোগ করা হয় বর্ধমান ফুডিশ ক্লাবের সাথে। মৈনাকের টিম অপেক্ষায় থাকে বর্ধমান স্টেশনে খাবার রিসিভ করার জন্য।

আনুমানিক ৬নাগাদ শুরু হয় খাবার বিলি বর্ধমান ফুডিশ ক্লাবের মাধ্যমে স্টেশন চত্বরে। ১৪৫ জন অভুক্ত মানুষের মুখে খাবার তুলে দিয়ে খালি ডেকচি বাড়ি আসে ৬.৫০ এর ডাউন লোকাল ধরে। অসংখ্য ধন্যবাদ জানান বর্ধমান ফুডিশ ক্লাবকে এক ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্য, ধন্যবাদ জানান যিশু ও মন্টুবাবুকে পল্লিমঙ্গল সমিতি।
এদের মতো মানুষরা যারা খাবার নষ্ট নিয়ে ভাবেন তাই ডাস্টবিনে ফেলার বদলে তারা অভুক্তদের মুখে তা তুলে দিতে চান।ছ সচেতনতা আসুক ঘরে ঘরে, খাবার নষ্ট নয় একদম ; সাথে আছি আমরা সদা সর্বদা, যোগাযোগ: ৯৯৩৩৫৭৪৮৪৩ বলেন পল্লীমঙ্গল সম্পাদক সন্দীপন সরকার।