ছবি-কৃষ্ণ সাহা |
রাজ্যের শস্যগোলা বলে পরিচিত পূর্ব বর্ধমান জেলা । এই জেলায় ধান , আলু সহ অন্য সব্জি ফসলের চাষ পুরো মাত্রায় হলেও ফুল চাষে এই জেলা অনেকটাই পিছিয়ে । তারই মধ্যে ব্যতিক্রম ঘটিয়েছেন রায়না ২ ব্লকের উচালন পঞ্চায়েতের নন্দনপুর গ্রাম নিবাসী গুনধর সাহানা । তিনি চাষী পরিবাবের ছেলে হলেও ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশুনা করেছেন । নিজের ফ্যাক্টরিও আছে । তাসত্বেও তাঁর চাষ নিয়ে নতুন কিছু একটা করার উৎসাহ জাগে।
প্রথাগত চাষের কথা মাথায় না এনে তিনি ১৫ বছর আগে গ্রামে নিজের বিশাল জমিতে জারবেরা ফুলের চাষ শুরু করেন । শীতে তাঁর সেই উদ্যান এখন ভরে রয়েছে অজশ্র জারবেরা ফুলে । শনিবার সেই উদ্যান ঘুরেদেখে কার্যত মোহিত হয়েযান রাজ্যের কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার ও জেলাশাসক বিজয় ভারতি সহ জেলার অন্যান প্রশাসনিক কর্তারা । তাঁরা এদিন গুনধর সাহানাকে সর্বত ভাবে সহযোগীতা করার আশ্বাস দিয়েযান ।
জেলাশাসক বিজয় ভারতী বলেন , প্রথাগত চাষের বাইরে গিয়ে উদ্যান পালনে এই জেলার চাষীরা আগ্রহ দেখান না । নন্দনপুরে চাষী গুনধর সাহানা নিজে উদ্যান পালনে আগ্রহুী হয়ে জারবেরা ফুলের চাষে আগ্রহ দেখিয়েছেন । সেই ফুলের চাষ দেখে খুবই ভালো লাগলো । এই ফুলের বাজারি চাহিদাও যথেষ্ট রয়েছে । প্রয়োজনে এনাদের প্রসেসিং , প্যাকেজিং , এক্সপোর্ট ,মার্কেটিং প্রভৃতি বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেবার ব্যবস্থা করেদেব । এই উদ্যানপালনের মধ্যদিয়েই অনেকের কর্মসংস্থান হবে ।
জেলাশাসক জানিয়েদেন ,বিভিন্ন ধরনের ফুলের চাষ বাড়লে তা বিক্রীর জন্য জেলার কৃষক বাজার গুলিতেও বিশেষ ব্যবস্থাও গড়েতোলা হবে । জেলাশাসক চাষীদের উদ্দেশ্যে বলেন ,অ্যালোভেরা সহ অন্যফুল চাষে চাষীরা আগ্রহী হলে জেলা প্রশাসন তাঁদের সর্বতভাবে সহযোগীতা করবে । কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার বলেন , ব্যতিক্রম কিছু চাষ করেও যে রোজগার করাযায় সেই পথ এই জেলার চাষীদের দেখিয়েছেন গুনধর সাহানা । শুধু তাইনয় গুনধর এতদ অঞ্চলের তরুনদের মধ্যেও উদ্যান পালনে আগ্রহ সঞ্চারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন । যা প্রশংসার দাবি রাখে । প্রদীপ বাবু বলেন , আমি মনেকরি এই চাষ দেখে আগামীদিনে পূর্ব বর্ধমান জেলার চাষীদের উদ্যান পালনে আগ্রহ বাড়বে ।
গুনধর সাহানা জানিয়েছেন , জারবেরা মূহত হল্যান্ডের ফুল । ঠান্ডায় হয় । সেকারনে নিজের জমিতে গ্রীন হাউস তৈরি করে টেম্পারেচার কনট্রোল করে তাঁকে এই ফুলের চাষ করতে হয়েছে । টেম্পারেচার কনট্রোল করেরাখলে বারোমাস জারবেরা ফুল ফোটে। এভাবেই ১৫-১৬ বছর ধরে জারবেরা ফুলের চাষ করে চলেছেন । গুনধর বাবু বলেন এই ফুলের চাষ করার জন্য তিনি সরকারী সহায়তাও পেয়েছেন । সারাবছর কলকাতার বাজারে এই ফুলের চাহিদা থাকে । তাই ফুল কলকাতায় পাঠান বিক্রীর জন্য । এই ফুল চাষ যথেষ্ট লাভজনক । গুনধর বাবুর দাবি ,চাষীরা প্রথাগত চাষের বাইরে গিয়ে উদ্যান পালনে আগ্রহী হলে লাভের মুখ দেখবেনই ।