নিম্নচাপের পরে পোকার আক্রমণ আলুতে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে কৃষক

বৃষ্টিতে শেষ হয়েগেছে আমন ধান। মাথায় হাত চাষীদের। তবে তার মাঝেও অনেকে কিছু আর্থিক লাভের আশা করে ছিলেন পোখরাজ আলু লাগিয়ে। অর্থাৎ যে আলু মরশুমের শুরুতেই উঠে। তবে সেই আলুতে রোগের আক্রমণ। ধীরে ধীরে মারা যাচ্ছে জমির আলু গাছ, আত তাতেই মাথায় বাজ ভেঙে পড়েছে চাষীদের। চাষীদের দাবি, “হাজার হাজার টাকা ঋণ নিয়ে লাগানো হয়েছে আলু, যে ভাবে গাছ মরছে তাতে আত্মহত্যা করা ছাড়া কোন উপায় নেই”।

উল্লেখ্য, সারেঙ্গা ব্লকের তেলিজাঁত, সুখাডালী, গড়গড়্যা, বিক্রমপুর সহ বেশ কিছু এলাকার চাষীরা জৈষ্ঠ্য আলুর চাষ করেন, যা পোখরাজ আলু নামেও পরিচিত। সাধারণ কার্তিক মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে এই আলুর বীজ মাটিতে পোঁতার কাজ শুরু হয়। আর এই আলু মূলত শীতের শুরুতেই উঠে। চাষীদের এই আলু চাষে বিঘা প্রতি খরচ হয় প্রায় ২৫ হাজার টাকা। আলু বীজ ও সারের দাম এবং মহাজনের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করার কারণে খরচ অনেকটা বেড়ে যায় বলে দাবী, চাষীদের। এবার সেই আলু গাছে রোগের আক্রমণ।

আলু গাছে সবে মাত্র ধরছে আলু দাবী সেই সময়,প্রথমে কয়েকটা গাছ ঝুমছে এবং ঢলে পড়ছে পরে আস্তে আস্তে পুরো জমির আলু গাছেই আস্তে এই ভাবে আক্রান্ত হচ্ছে। ফলে কার্যত ঋণ নিয়ে এই আলু চাষ করে সমস্যায় পড়েছেন সারেঙ্গার ভরত চন্দ্র দূলে, জাকির হুশেন এর মতো অনেক কৃষকেই। তাঁরা ইতিমধ্যে বিষয় টি স্থানীয় কৃষি দফতরে জানিয়েছেন এবং সেখান থেকে কিছু ঔষধ ও লিখে দেওয়া হয়েছে বলে জানাগেছে।

অন্যদিকে সারেঙ্গা ব্লক সহ কৃষি অধিকর্তার দাবী, মূলত এটি ব্যাক্টেরিয়া ঘটিত ঢলে পড়া রোগ। তাঁর দাবী আক্রান্ত আলু গাছে নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে এবং উনাদের কিছু প্রতিকারের কথা বলা হয়েছে। ওই জমিতে গিয়েও পরীক্ষা করা হবে বলে তিনি জানান।