প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :-লগডাউনের মধ্যেই জঙ্গল ছেড়ে দুটি দাঁতাল হাতি হানাদিল লোকালয়ের ধানক্ষেতে ।এই ঘটনা ঘিরে শনিবার সকালথেকে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষে। হাতির দল চাষের জমিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দেখে লগডাউন ভঙ্গ করেই খণ্ডঘোষের খেঁজুরহাটি , ওঁয়ারি ,কৈশর,
আলিপুর ও নিশ্চিন্তপুর প্রভৃতি গ্রামের মানুষজন হাতি তাড়াতে বেরিয়ে পড়েন । এই খবর পাওয়া মাত্রই খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ এলাকায় পৌছায়।খবর দেওয়া হয় বন
দফতরে ।বেলায় বন দফতরের রেঞ্জ অফিসার সহ হুলা পার্টি খণ্ডঘোষে পৌছায় । তারা হাতি গুলিকে বাঁকুড়ার জঙ্গলের দিকে ফিরিয়ে দেবার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে ,এদিন ভোরে বাঁকুড়ার পাত্রসায়রের দিক থেকে দুটি দাঁতাল হাতি খণ্ডঘোষ এলাকায় ঢুকেপড়ে । গ্রামে হাতি ঢুকে পড়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই সকলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।এরপরেই লগডাউন শিকেয় তুলে একের পর এক গ্রামের বাসিন্দা জমি থেকে হাতি তাড়াতে ঘরথেকে বাইরে বেরিয়ে পড়েন । বন দফতরের তরফে জানানো হয় শুক্রবার রাতের দিকেই সম্ভবত হাতি দুটি বাঁকুড়ার দিককার জঙ্গল থেকে বেরিয়ে পড়ে খণ্ডঘোষে চলে এসেছে। চাষজমি ছেড়ে হাতি গুলি যাতে জনবসতি এলাকায় ঢুকে না পড়ে
তারই তৎপরতা এদিন চালিয়ে যান বর্ধমান ও সোনামুখি রেঞ্জের ফরেস্ট অফিসার সহ হুলা পার্টির কর্মীরা। হাতিগুলিকে উত্যক্ত না করার জন্য বনকর্মীরা মাইকে লাগাতার প্রচারও চালিয়ে যান। তারা সন্ধ্যা নামার আগেই হাতি দুটিকে বাঁকুড়ার জঙ্গলের দিকে ফেরত পাঠানোর জন্য সবরকম চেষ্টা চালানো শুরু করেন । তারই মধ্যে হাতির হানায় বরো ধান চাষের ক্ষতি হওয়া নিয়ে পুলিশ ও বন আধিকারিকদের সামনেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন খণ্ডঘোষের চাষিরা। তারা ক্ষতিপূরণেরও দাবিতে জানিয়েছেন ।
খডঘোষে এসে সোনামুখির ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসার দয়াল চক্রবর্তী বলেন, একমাস আগে দাঁতাল হাতি দুটি বিষ্ণুপুর থেকে সোনামুখি ও পাত্রসায়ার হয়ে বজরা এলাকায় চলেযায় ।সেখান থেকে ফের হাতি দুটি শুক্রবার চলেযায় পাত্রসায়ার।শনিবারই হাতি দুটিকে জঙ্গলে ফিরিয়ে নিয়েযাবার চেষ্টা হয় । কিন্তু হঠাৎই মিসিং হয়েযায় দুটি হাতি । চেষ্টা চালানো হচ্ছে খণ্ডঘোষ থেকে পাত্রসায়ার হয়ে হাতি দুটিকে জঙ্গলে ফেরৎ পাঠানোর ।খণ্ডঘোষের মানুষজন যদি সহযোগীতা করেন তবেই সেই কাজ দ্রুত করা সম্ভব হবে বলে রেঞ্জ অফিসার জানিয়েদেন ।সর্বশেষ পাওয়া খবরে জানাগেছে , সন্ধ্যা নামার আগেই বনকর্মীরা হাতি দুটিকে খণ্ডঘোষ থেকে পাত্রসায়ারের দিকে পাঠিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছেন।