ওরা ভালোবাসে প্রকৃতি কে
প্রকৃতি ওদের প্রাণ
সুস্থ সবুজ প্রকৃতি ফিরুক
দূষণ হোক অবসান।
ওরা “আকাশ” পরিবার। ওরা প্রকৃতি প্রেমী স্বেচ্ছা সেবী সংগঠন। ওদের উদেশ্য প্রকৃতিকে ফিরিয়ে দিতে তার নির্মলতা। গাছের বুক থেকে ক্ষতিকর পেরেক,গজাল,ব্যানার,হোডিং খুলে নিয়ে ইতিমধ্যেই তারা বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষজন কে গাছের যত্ন নিতে শিখিয়েছে। এবার তাদের সংকল্প পলিথিন নামক দৈত্যের হাত থেকে প্রকৃতি কে রক্ষা করা এবং মানুষ কে সচেতন করা। সেই উদ্দ্যেশে তারা শুরু করেছে তাদের প্রকল্প
” ডিস পলি ফাই” ।
প্লাস্টিক নয় ঠিক সমাজের তরে
এই বার্তা আজ যাক ঘরে ঘরে
ওই বিষ সমাজেতে যত বেশি মিশবে
মারণ দৈত্য হয়ে আমাদেরই পিষবে
তাই আর না আর না প্লাস্টিক ব্যবহার
এসো করি সবে মিলে এই বিষ পরিহার।।
২৫ জন তরুণ তরুণী রবিবার সকাল থেকেই পূর্ব বর্ধমান জেলার রায়না থানা এলাকার সকল বাজার ও ছোটো বড়ো ব্যবসায়ী দের কাছে যাচ্ছে, তাদের হাতে সহজে মাটিতে মিশে যায় এমন পাতলা কাপড় ও কাগজের তৈরি ব্যাগ। ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয় পক্ষ কেই তারা পলিথিন ব্যবহারের খারাপ দিক এবং বায়োডিগ্রেডেবেল ব্যাগ ব্যবহার এর ভালো দিক সম্পর্কে সচেতন করছে। দোকান থেকে বেড়িয়ে আসা ক্রেতা দের কাছ থেকে পলিথিনের ব্যাগ ফেরত নিয়ে তাদের হাতে তুলে দিচ্ছে বায়োডিগ্রেডেবেল ব্যাগ। মাইকের মাধ্যমে চলছে তাদের প্রচার কাজ। এলাকার মানুষ তাদের এই উদ্যোগ কে যথেষ্ট সাধুবাদ জানিয়েছেন।
” আকাশ” পরিবার এর সভাপতি অয়ন চক্রবর্ত্তী জানিয়েছেন -আগুন কে সূর্য ভেবে যেমন পোকারা এগিয়ে চলে, ঠিক তেমন ই প্লাস্টিক কে বন্ধু ভেবে আমরা ছুটে যাই তার দিকে।পরিণামে সমাজে এঁকে দিই ধ্বংসের আলপনা।বাচ্ছার খাবার থেকে বয়স্ক দের ওষুধ সবেতেই প্লাস্টিক এর অস্তিত্ব দেখা যায়। মানবজীবন, প্রাণী জীবন, উদ্ভিদ জীবন- জল, স্থল উভয় স্থানেই এর কু প্রভাব বর্তমান। নালা নর্দমার মুখে প্লাস্টিক আটকে থেকে বড়ো বড়ো শহর গুলিতে ইলশেগুড়ি বৃষ্টি তেও বন্যা ডেকে আনে।এই বার্তা, এই সচেতনতা সকলের মধ্যে পৌঁছানো দরকার। সবাই জানবে তবে তো মানবে। প্লাস্টিক এর পরিবর্তে পাট বা সহজে মাটিতে মিশে যায় এমন ব্যাগ ব্যবহার করা দরকার।
রায়না বাজার এর পর তারা শ্যামসুন্দর এর বিস্তীর্ণ এলাকায় এই এক ই প্রচার করবে। সমাজের ক্ষতিকর বস্তু গুলির সম্পর্কে মানুষ কে সজাগ ও সচেতন না করলে এই দিন বেশি দূরে নয় যখন মানবসভ্যতা ধ্বংসের সম্মুখীন হবে আর আমাদের কিছুই করার থাকবে না।