সুনীতা ঘোষ ( রায়না ) :- মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশানুসারে এবং পাঁইটা এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে “জয় বাংলা” প্রকল্পের ফর্ম সংগ্রহের কাজ চলছে গত চার দিন ধরে।আজই তার শেষ দিন।এই কাজের সাথে হাত মিলিয়েছেন রায়না দুই নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও বিডিও।দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষরা বার্ধক্য ভাতা এবং বিধবা ভাতা পেত।এই নতুন প্রকল্প অনুযায়ী, St ও Sc এর অন্তর্ভুক্ত, ষাঠ বছর অতিবাহিত হয়েছে এমন ব্যক্তিরা আবেদন করতে পারবেন।গ্রামে গ্রামে ক্যাম্প করে প্রায় পাঁচশ ফর্ম সংগ্রহ করা হয়েছে।এখন সময় সংগৃহীত ফর্মগুলি সংশোধন করে নির্ভুল ভাবে আপলোড করা।তাদের এই চারদিনের কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হলো, বয়স্ক,শারীরিক ভাবে সক্ষম নয় এমন কৃষক সহ সমস্ত শ্রমজীবী মানুষরা যাতে বার্ধক্য ভাতা পায় সেদিকে নজর রাখা।
এছাড়াও মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর সাধের প্রকল্প গীতাঞ্জলির পরিবর্তে যে নতুন প্রকল্প “স্নেহালয়” প্রক্ল্প চালু হয়েছে ,তার জন্যও সমীক্ষা গ্রহণ করা হয়েছে। ত্রিপল বা খড়ের চালের ঘরে বসবাসকারী মানুষদের চিহ্নিত করে ও তাদের নাম নথিভুক্ত করে ব্লক স্তরে পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপপ্রধান রামচন্দ্র পাল। রায়না দুই নম্বর ব্লকের অন্তর্গত ভাদিয়ারা,শেরপুর,সুন্দরপুর, ছোটো বৈনান,সহ গ্রামগুলিতে চারদিন ধরে ক্যাম্প করে অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
এই কর্মসূচির শেষ দিনে উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার প্রণব বাবু,বড়বাবু হারুনাল রশিদ,শ্যামাপদ পণ্ডিত,সমরেশ বাবু, পঞ্চায়েত প্রধান বাবলু সাঁতরা,নারী ও শিশু কল্যাণ দপ্তরের সঞ্চালক গায়েত্রী কুন্ডু, কৃষি দপ্তরের সঞ্চালক শ্যামল রায়,পঞ্চায়েত সদস্যা কৃষ্ণা সাঁতরা সহ অন্যান্য সাধারণ কর্মচারীবৃন্দ।উপপ্রধান রামচন্দ্র পালের কথায়,রাত দিন এক করে কাজ করে গেছেন তারা,আজই সমস্ত তথ্য পাঠানোর শেষ দিন।।
তাই কাজে কোনো রকম খামতি রাখছেন না তারা।