আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

জমিদারি প্রথার বিলোপের পর জমিদার বাড়ির দুর্গা পুজো অাঁকড়ে শারদোৎসব কাটানো নয় । এর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষনা করে দুর্গা পুজোর আয়োজন করলেন ৯ বধূ ।

By krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

 

প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়  বর্ধমান ৫ অক্টোবর

হিন্দু পুরাণ অনুসারে নয়টি  ভিন্ন রুপে পূজিতা হন দেবী পার্বতী অর্থাৎ  দেবী দুর্গা  ।  শৈলপুত্রী ,চন্দ্রঘন্টা , ব্রহ্মচারিণী, স্কন্দমাতা, কুম্মাণ্ডা ,কালরাত্রি , কত্যায়নী,মহাগৌরী এবং সিদ্ধিদাত্রী ,এই হল দেবীর নয় রুপ। এমনই ভিন্ন রুপের নয় নারীর  একান্ত উদ্যোগে  পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের মণিরামবাটি  গ্রামে পূজিত হয়ে আসছেন দেবী দুর্গা । তাদের আয়োজিত দুর্গা পুজা এবছর চতুর্থ  বর্ষে পদার্পণ করেছে । বাজেট সামান্য হলেও  মা দুর্গা  মহিলা সমিতির সদস্য  ভক্তিভাব  ও আন্তরিকতা টেক্কা দিচ্ছে বড়বাজেটের  পুজো আয়োজকদেরও ।প্রশাসনিক অনুমতি নিয়ে  সুশৃংখল ভাবে পুজো আয়োজনের জন্য  মা দুর্গা  মহিলা সমিতিকে বিশেষ ভাবে পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে  জামালপুর থানা । মহাসপ্তমীর সন্ধায়   জামালপুর থানার পুলিশ কর্তারা  মা দুর্গা মহিলা  সমিতির সদস্যদের হাতে পুরস্কার তুলেদেন । পুরুষরা মুখ লুকোলেও প্রথমবার পুরস্কার পেয়ে আপ্লুত মণিরামবাটি গ্রামের বধূরা ।

দুর্গা মাতা  মহিলা সমিতির  সম্পাদিকা কুমকুম বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন , তাঁদের গ্রামে দুর্গা পুজো না হওয়ায় পূর্বে সবাই আফসোস করতো । তাসত্ত্বেও গ্রামের পুরুষরা কেউই দুর্গা পুজোর আয়োজন করার উদ্যোগ নেয়নি । মণিরামবাটির জমিদার বাড়ির দুর্গা পুজো  নিয়েই শারদোৎসবের কটাদিন কাটাতে   বাধ্য হত গ্রামের মানুষজন । কুমকুমদেবী বলেন, জমিদারি প্রথার বিলোপ ঘটার পরেও জমিদার বাড়ির পুজো অাঁকড়ে  শারদোৎসব কাটোনোর পক্ষপাতী  তিনি এবং তাঁর সহযোগী মহিলারা  ছিলেন না । তাই তারা  স্থির করেন গ্রামের বধূরা মিলেই দুর্গা পুজোর আয়োজন করবেন । কুমকুমদেবী বলেন এরজন্য কটুক্তি সমালোচনা অনেককিছুই শুনতে হয়েছে ।  তবে  সবকিছুকে দূরে সরিয়েরেখে তিনি এবং গ্রামের অপর বধূ  চিন্ময়ী, টগরি , মিনতি , অপর্ণা , ঝর্ণা  , কৃষ্ণা এবং সাধনা কর্মকার ও সাধনা ধারা মিলে চারবছর আগে গ্রামে প্রথম দুর্গা পুজোর আয়োজন করেন । সেই শুরু তারপর থেকে তারা আর পিছন ফিরে তাকাননি ।এবছর তাঁদের পুজো চতুর্থ বর্ষে পা রাখলো ।

চিন্ময়ী নন্দী , সাধনা কর্মকার প্রমুখরা জানিয়েছেন , এবছর তাঁদের পুজোর বাজেট মাত্র ৪৫ হাজার টাকা । তারমধ্যে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে পেয়েছেন ৩০ হাজার টাকা । নয় বধূ মিলে গ্রামের ১১৪ ঘর বাসিন্দার  বাড়ি বাড়ি ঘুরে  চাঁদা তুলেছেন । যথসামন্য  সেই চাঁদার অর্থ এবং  বাকিটা  নয় বধূ মিলে দিয়ে এবছর সমস্ত পুজোর আয়োজন সম্পূর্ণ করেছেন ।  আগামীদিনে গ্রামে দুর্গা মন্দির গড়ে বড়করে দেবী দশভূজার আয়োজন করার  বাসনার কথা শুনিয়েছেন মা দুর্গা মহিলা সমিতির সদস্যরা ।

See also  দেবদাস উপন্যাসকে আঁকড়ে বর্ধমানের হাতিপোতা গ্রামে চলা মেলায় আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে ৭ কেজি ওজনের পেল্লাই মিষ্টান্ন

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি