আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

গুলি করার পর বাবা ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মাকে খুন করেছিল। পুলিশকে এই কথা জানালো মঙ্গলকোটে নিহত বধূর নাবালক সন্তানরা

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

বর্ধমান ( প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ) :- প্রথমে গুলি করে ও পরে নৃশংস ভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের মাহাত্তুবাপুরের বধূ শাহ রেজিনা বেগম কে । এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে পুলিশের তদন্ত ও মৃতার নাবালক ছেলের বক্তব্যে।বধূর মৃতদেহের ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার তেনটাই নিশ্চিৎ হয়েছেন বর্ধমান মেডিকেল কলেজের স্টেট ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসকরা।  এমন নৃশংস ভাবে বধূ হত্যা বিরল ঘটনা বলেই মনেকরছেন পুলিশ কর্তারা । 
শ্বশুর বাড়িতে রেজিনা বেগমকে নৃশংস ভাবে খুনের অভিযোগে মঙ্গলকোট থানার  পুলিশ ইতিমধ্যেই বধূর স্বামী শাহ মিরাজ হোসেন কে গ্রেফতার করেছে । পলাতক রয়েছে বধূর  শ্বশুর শাহ এমারুল হোসেন ও শাশুড়ি  কায়েমুন্নেসা বেগম। পুলিশ তাঁদের খোঁজে তল্লাসি চালাচ্ছে ।
পুলিশ জানিয়েছে,রবিবার রাতে মঙ্গলকোটের 
মাহাত্তুবাপুর গ্রামের শ্বশুর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বধূ রেজিনার রক্তাত ও ক্ষতবিক্ষত  মৃতদেহ । ভাতারের কালটিকুরি গ্রাম নিবাসী বধূর বাবা সেখ রেজাউল হক  সোমবার থানায় দায়েরকরা লিখিত অভিযোগ জানান জামাই , শ্বশুর ও শাশুড়ি মিলে তাঁর মেয়েকে নৃশংস ভাবে খুন করেছে।ওইদিন তদন্তকারী পুলিশ কর্তাদের কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের ময়নাতদন্তকারী
 চিকিৎসক  জানান,কুপিয়ে-খুঁচিয়ে বধূ রেজিনা বেগমকে খুন করা হয়েছে।এরপর  মৃতার নাবালক ছেলে ও মেয়ের কাছে পুলিশ  কি ঘটনা ঘটেছিল তা জানতে চায় । তখনই তারা  পুলিশের কাছে তাদের  বাবা মিরাজ হোসেনের নৃশংসতার সবিস্তার কাহিনী খুলে বলে। মৃতার নাবালক ছেলে ও মেয়ে  পুলিশকে জানিয়েছে, তাঁদের বাবা প্রথমে মা রেজিনা কে  গুলি করে।পরে কাটারি দিয়ে একের পর এক  কোপ মেরে বাবা তাঁদের মাকে খুন করেছে । বধূর নাবালক সন্তানরা এমনটা জানানোর পরেই পুলিশ বধূর মৃতদেহ ফের মঙ্গলবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠায়  ময়নাতদন্তের জন্য । বধূর ডান কানের নিচে গভীর ক্ষত দেখে বর্ধমানের ময়নাতদন্তকারীরা চিকিৎসক নিশ্চিৎ হন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর পাশাপাশি গুলি করে  বধূকে খুন করা হয়েছে।পুলিশ জানিয়েছে  তদন্তের প্রয়োজনে ও পলাতকদের নাগাল পেতে ধৃতকে বুধবার কাটোয়া মহকুমা আদালতে পেশ করে  হেফাজতে নেওয়া হবে । 
 জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “ধৃত গুলি করে খুন করার কথা স্বীকার করেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের সঙ্গে ধৃতের দাবি মিলিয়ে দেখা হবে। আগ্নেয়াস্ত্রের খোঁজ চালানোর পাশাপাশি ওই ব্যক্তি আগ্নেয়াস্ত্র  কিভাবে পেল তাও জানার চেষ্টা চলছে ।“ 

See also  একই দিনে স্বামীর অভিযোগে স্ত্রী গ্রেপ্তার - স্ত্রীর অভিযোগে স্বামী গ্রেপ্তার , চাঞ্চল্য খণ্ডঘোষে

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি