প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :- তৃণমূল নেত্রীর কড়া নির্দেশের পরেও  শোধরালেন না তৃণমূল নেতৃত্ব । শুক্রবার পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় ‘বাংলার গর্ব  মমতা ’ কর্মসূচির মঞ্চেও প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদন্দ ।তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে মঞ্চ   ছেড়ে চলেগেলেন কাটোয়া শহর তৃণমূল  সভাপতি  অমর রাম।এই ঘটনা  সামনে আসতেই  বেজায় অস্বস্তিতে পড়েগেছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। পুরসভা নির্বাচনের আগে দুই নেতার এই দন্দ কাটাতে উচ্চ নেতৃত্ব  কি ব্যবস্থানেন এখন  সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে কাটোয়ার তৃণমূল কর্মীরা।
বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এদিন বেলায় কাটোয়া  শহরের সংহতি মঞ্চে  শুরু হয় ‘বাংলার গর্ব মমতা’ কর্মসূচি ।কাটোয়া বিধানসভা এলাকার বহু  দলীয়  কর্মী সংহতি মঞ্চে আয়োজিত কর্মসূচিতে যোগ দেন ।  কাটোয়া শহর তৃণমূল সভাপতি অমর রাম কর্মসূচিতে যোগ দেন। কিন্তু কর্মসূচিতে ছন্দপতন ঘটে  অমর রাম বক্তব্য রাখা শুরু করতেই । মঞ্চে দাঁড়িয়ে অমর রাম বলেন, ‘কারোর একটা ফোন পেয়ে আমি কর্মসূচিতে  যোগ দিয়েছি । কিন্তু বিধায়ক  আমাকে ফোন করেননি। জানিনা বিধায়কের আমাকে ফোন করার ক্ষেত্রে  কোন লজ্জা আছে কিনা। উনি কেন আমাকে ফোন করেন না জানিনা । তা সত্বেও আমি সভায় এসেছি। কারণ কলকাতার সভায় নেত্রী যে নির্দেশ দিয়েছিলেন তা মেনে  কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছি। কিন্তু এই সভায় এসে শুধুমাত্র অপমানিত বোধ হবো সেই জন্য আমি সভায় আর থাকতে পারব না।’ এমন মন্তব্য করেই মমতা বন্দোপাধ্যায় জিন্দাবাদ, তৃণমূল কংগ্রেস জিন্দাবাদ বলে অমর রাম সভাস্থল ছেড়ে চলেযান । এই ঘটনা স্বচোক্ষে দেখে সভায় উপস্থিত সকলে হতবাক হয়েযান । অমর রামের এই বক্তব্য প্রসঙ্গে কাটোয়ার বিধায়ক  রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়  বলেন, ‘আমি আজকের সভা নিয়ে নিজে অমর রামকে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করেছি । , 
সেই মেসেজ তিনি দেখেওছেন ।এমনকি জেলার সাধারণ সম্পাদককে দিয়ে ফোন ও  করিয়ে আমন্ত্রন জানিয়েছি ।তার পরেও আমি তাকে আমন্ত্রণ  জানায়নি বলে  যে কথা অমর  বলো তা ঠিক নয়। রবিবাবু বলেন তবুও  অগ্রজ হিসেবে  আমি মনে করি  যদি কারুর  কোন অভিমান থাকে সেটা  আমাকেই দূর করতে হবে। ’যদিও এদিনের কর্মসূচি পালন নিয়ে শুধু কাটোয়াতেই গোষ্ঠীদন্দ প্রকাশ্যে এসেছে এমনটা নয় ।বর্ধমান দক্ষিন , বর্ধমান উত্তর , মেমারি , জামালপুর ,কালনা এইসব বিধানসভা এলাকাতেও‘ বাংলার গর্ব মমতা ’কর্মসূচিতে যোগদানের ডাক পাওয়া ও না পাওয়া নিয়ে ক্ষভ বিক্ষোভ ছড়িয়েছে ।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল যুব কার্যকরী সভাপতি শ্রীমন্ত রায় বলেন , অনভিপ্রেত ঘটনা ।এমনটা না হওয়াই কাম্য ছিল। তবে নিশ্চিৎ ভাবে  জানিয়ে দিতে পারি নেত্রীর নির্দেশ মেনে আমাদের দলের  সবাই মান অভিমান ভুলে একযোগে  বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে সামিল হবে ।আগামী পুরসভা নির্বাচন ও ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে ঘাসফুলেরই জয়জয়কার হবে বংলায় ।













