প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :- করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে রাজ্য সরকারের নির্দেশে পর্যটকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছে স্বাস্থ দফতর ।
সরকারী সেই নির্দেশ কার্যকর করতে শনিবার সাতসকালেই হাওড়া – বর্ধমান কর্ড শাখার পূর্ব বর্ধমানের মসাগ্রাম স্টেশানে পৌছেযান জামালপুর ব্লক হাসপাতালের চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মী ও পুলিশ আধিকারিকরা।ভিন রাজ্যে ভ্রমন সেরে ফেরত আসা পর্যটকদের দাঁড় করিয়ে সেখানেই হল স্বাস্থ্য পরীক্ষা।
এদিন সকাল ৮টা ১০ মিনিট নাগদ ডাউন লোকল ট্রেন থেকে মসাগ্রামে নামেন সিমলা ,কুলু ও মানালি থেকে ফিরেআসা একদল পর্যটক । তারা ট্রেন থেকে নামতেই স্টেশান চত্ত্বরে ক্যাম্প করে বসে থাকা চিকিৎসক ও পুলিশ অফিসাররা তাদের পথ আটকান ।চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা সকল পর্যটকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন । পর্যটকের নাম , ঠিকানা ও ফোন নম্বার নথিভুক্তও করা হয় ।
জামালপুর ব্লক স্বাস্থকেন্দ্রের বিএমওএইচ
ডাঃ আনন্দমোহন গড়াই জানিয়েছেন, জামালপুরের আঝাপুরের প্রায় ৭০ জনের একটি দল গত ১৩ মার্চ সিমলা ,কুলু ও মানালি বেড়াতে যান। শুক্রবার রাতে খবর আসে ৭দিনের ট্যুর সেরে ওই পর্যটকরা ডাউন কালকা মেলে চড়ে বর্ধমানে ফিরছেন। শনিবার সকালে বর্ধমান স্টেশানে নেমে তারা লোকাল ট্রেনে চড়ে মসাগ্রামে নামবে । সেই খবর মেলার পরেই ওই পর্যটকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা না করে ছাড়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিন সাত সকালে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ব্লক হাসপাতালের চিকিসক পার্থসারথী সিংহ ও স্বাস্থ্য কর্মীরা মসাগ্রাম স্টেশান চত্ত্বরে হাজির হয়েযান । চিকিৎসক পার্থসারথী সিংহ জানিয়েছেন , পর্যটকদের
প্রত্যেকেরই বাড়ি আঝাপুর এলাকায় । ওই
পর্যটকদের সকলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পাশাপাশি থার্মাল ক্লিনিং করা হয়েছে। কারুর শরীরেই অবশ্য এদিন করোনা সংক্রমণের লক্ষণ দেখাযায়নি । তবে যেহেতু ভিন রাজ্য ঘুরে তারা ফেরত এসেছেন তাই তাদের আগামী ১৪ দিন বাড়িতেই কোরান্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে ।যদিও আঝাপুর এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা লিখিত ভাবে এদিন বিএমওএইচ কে জানিয়েছেন ,ভিন রাজ্যে বেড়ানো সেরে ফেরত আসা ব্যক্তিরা কেউ বাড়িতে থাকছেন না । ফিরে এসেই তারা এলাকায় অবাধে ঘোরাফেরা শুরু করে দিয়েছে ।সেকারণে আঝাপুরের অনেক বাসিন্দাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন । এবিষয়ে বিএমওইচ জানিয়েছেন , চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে ওই ব্যক্তিরা না চললে প্রয়জনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে ।
krishna Saha
আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি