প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :- করোনা ভাইরাস আতঙ্কে দেখানেই খরিদ্দারের ।তার জেরে চরম মন্দা দেখা দিয়েছে পূর্ব বর্ধমানের প্রসিদ্ধ সীতাভোগ,ল্যাংচা ও মিহিদানা ব্যবসায়। এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন শক্তিগড়ের ল্যাংচা, সীতাভোগ ও মিহিদানা ব্যসায়ীরা।করোনা আতঙ্ক কাটিয়ে সাধারণ মানুষ তাঁদের মিষ্টান্ন দোকান মুখো না হলে ব্যবসা লাটে উঠবে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা ।
বর্ধমানের প্রসিদ্ধ মিষ্টান্ন মানেই ল্যাংচা , সীতাভোগ ও মিহিদানা।পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের দুধারে সারিবদ্ধ ভাবে রয়েছে অসংখ্য ল্যাংচা , সীতাভোগ ও মিদিনার দোকান । দূরপাল্লার বাস ও অন্যান যানবাহনে চড়ে এই সড়কপথ ধরে যাওয়া বহু মানুষ আগে বর্ধমানের প্রসিদ্ধ এই তিন মিষ্টি কেনার জন্য দাঁড়াতেন । করোনা আতঙ্কে এখন সব উলোট পালট ঘটে গেছে । শক্তিগড়ের মিষ্টি ব্যবসায়ী বিদ্যুৎ ঘোষ শুক্রবার জানালেন ,দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার বাসের যাত্রীরাই হলেন তাঁদের বড় খরিদ্দার । কিন্তু এখন বাস যেমন কম চলছে তেমনই বাসে থাকছে হাতে গোনা কয়েকজন যাত্রী । করোনা ভাইরাস আতঙ্কে খুব প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষ ঘরথেকে বাইরে বের হচ্ছেন না ।দোকানে একটু বেশী লোক থাকলে খরিদ্দাররা সড়ে পড়ছেন । আতঙ্কে ব্যবসার পরিস্থিতিটাই এখন কেমন যেন পাল্টে গেছে । দূরপাল্লার বাস কিংবা অন্য কোন যানবাহন শক্তিগড়ে হল্ট করলেও যাত্রীরা ল্যাংচা খাওয়া তো দূরের কথা বাড়ির জন্য কিনছেন না। শুধু চা খেয়েই তাঁরা গাড়িতে চড়ে বসছেন।
বিদ্যুৎ ঘোষ বলেন যাত্রীদের ল্যাংচা কিংবা সীতাভোগ , মিহিদানা কেনার অনুরোধ করাহলে তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিচ্ছেন এখন বাইরের খাবার তারা ঘরে নিয়ে যাবেন না । করোনা আতঙ্কে খরিদ্দারা এই ভাবে মুখ ঘুরিয়ে নেওয়ায় ল্যাংচা , সীতাভোগ ও মিহিদানা ব্যবসা লাটে ওঠার উপক্রম হয়েছে বলে মিষ্টি ব্যসায়ীরা জানিয়েছেন । ব্যবসায়ীরা আরো জানান , বিক্রি কমে যাওয়ায় তাঁরা উৎপাদনও কমাতে বাধ্য হচ্ছেন। বিক্রি একেবার তলানীতে।কর্মীদের মাইনেও হচ্ছে না।এমন মহাসংকট আগে কোন দিও তৈরি হয় নি ।শক্তিগড়ে মিষ্টি ব্যবসায় যে মহাসংকট তৈরি করেদিন করোনা ভাইরাস আতঙ্ক।