প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :- করোনা ভাইরাস আতঙ্কের মাঝেই একাধীক
কাক ও কুকুরের মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছরালো পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে ।রবিবার সকালে ভাতারের বলগোনা বাজার এলাকায় মরে পড়ে থাকে ৮-১০ টি কুকুর ও বেশ কয়েকটি কাক ।পাশাপাশি আরো বেশ কয়েকটি কুকুরও এলাকায় ঝিমিয়ে পড়ে থাকে । জনতা কার্ফু চলার মাঝেই এই ঘটনা দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা। তারা মনেকরতে শুরু করেন করোনা সংক্রমণেই হয়তো কাক ও কুকুরের মৃত্যু হয়েছে ।তারাই ঘটনার কথা ব্লকের বিডিও অফিস ও থানায় ফোন করে জানায় । দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন প্রাণী সম্পদ দপ্তরের কর্মী ও আধিকারিকরা ।
ভাতার ব্লকের বিডিও শুভ্র চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন , ঘটনার কথা জানার পরেই তিনি প্রাণী সম্পদ দপ্তরের আধিকারিককে খবর পাঠান। পরে ভাতার ব্লক প্রাণী সম্পদ দপ্তরের কর্মীরা ওই এলাকায় গিয়ে মৃত কুকুর ও কাকের শরীরের নমুনা সংগ্রহ করেছেন। ওই নমুনা প্রাণীসম্পদ দপ্তরের ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে । যদিও প্রাণী সম্পদ দপ্তরের আধীকারিক শঙ্খ ঘোষ জানিয়েছেন , কাক ও কুকুরের মৃত্যুর সঙ্গে করোনা ভাইরাসের কোন সম্পর্ক নেই ।বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে।স্থানীয়দের সাহায্য নিয়ে মরা কাক ও কুকুর গুলি এদিনই জমিতেই গর্ত করে পুঁতে দেওয়া হয়েছে ।
বলগোনা বাজার এলাকার বাসিন্দা আবুল হোসেন বলেন, শনিবার কুকুর গুলি এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল । এদিন সকালে বলগোনা বাজার এলাকায় ওই কুকুর গুলিকেই মরে পড়ে থাকতে দেখাযায় । আশপাশে বেশকয়েকটি কাকও মরে পড়ে থাকে । বেশ কিছু কুকুরের আবার মুখ থেকে লালা ঝড়ছে। মনেহয় ওই কুকুর গুলোও মরে যাবে। বলগোনা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আমজাদ শেখ বলেন, ‘কুকুর ও কাক কি কারণে মরেছে তার তদন্ত হচ্ছে।তবে যতই যাই হোক মনেহয়না এই ঘটনার সঙ্গে করোনার কোন সম্পর্ক আছে । এলাকার বাসিন্দাকে আতঙ্কিত না হবার আবেদন করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান ।
