অ্যাসিড মেরে জীবন শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু রূপা, মধু, শবনম, খুশবুরা প্রমাণ করে দিয়েছেন, জীবনকে জিতে নেওয়া যায়। তাঁদের কাফে এখন বেঁচে থাকার আর এক নাম।
আগ্রার শিরোস হ্যাংআউট তৈরি হয়েছে এক দল অ্যাসিড আক্রান্ত মহিলাকে নিয়ে। কাফে তৈরি থেকে পরিচালনা, সবটাই তাঁরা করেন।
জীবনযুদ্ধ
যুদ্ধটা সহজ ছিল না। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নানা সময়ে অ্যাসিড হামলার মুখে পড়েছিলেন এই মহিলারা। বিকৃত হয়ে গিয়েছে মুখ। এক সময় তাঁরা ভেবেছিলেন, শেষ হয়ে গিয়েছে জীবন।
খাদের কিনারা থেকে সেই মেয়েদেরই তুলে আনে একটি সংস্থা।তাঁদের বোঝানো হয় রূপ আসলে মনে। একটা অ্যাসিড হামলায় জীবন শেষ হয়ে যেতে পারে না। বরং প্রমাণ করে দিতে হবে, এর পরেও মূলস্রোতের সমাজে ফিরে আসা যায়।
নতুন জীবন
শিরোস কাফে নতুন জীবন দিয়েছে ওই মহিলাদের। নিজেদের হাতে একটু একটু করে তৈরি করেছেন তাঁরা এই অসামান্য কাফে।
অনেকেরই প্রশ্ন, কাফে কেন? শিরোসের বক্তব্য, কাফেতে নানা ধরনের মানুষ আসেন।খেতে, গল্প করতে। তাঁদের সঙ্গে অ্যাসিড হামলার শিকার নারীদের একটা সম্পর্ক তৈরি করাই উদ্দেশ্য। সে উদ্দেশ্য ইতিমধ্যেই সফল হয়েছে। আরো কাফে খোলার পরিকল্পনা চলছে।
নতুন দিগন্ত খুলে গিয়েছে আক্রান্ত মহিলাদেরও। শুধু কাফেতেই কাজ নয়, তাঁরা এখন ফ্যাশন শোতেও যোগ দিচ্ছেন। সমাজের নানা ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন।